তৃণমূলের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক, মন্তব্য বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভার
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সরে আসার সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করলেন বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা। তিনি জানিয়েছেন, 'এখন রাগ বা অহংকারের সময় নয়।' তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'সততার প্রতীক' বলে উল্লেখ করেন। বিরোধীদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়াবেন বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।
কী বললেন মার্গারেট আলভা
বিরোধী শিবিরের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী মার্গারেট আলভা। শুক্রবার তিনি টুইট করে বলেন, 'উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এখন ক্রোধ বা অহংকার দেখানোর সময় নয়। এখন বিরোধীদের প্রয়োজন সাহস, নেতৃত্ব ও ঐক্যের। আমার বিশ্বাস সততার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের পাশে দাঁড়াবেন।'
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিরোধী শিবিরে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এক জায়গায় বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারপর বিরোধীরা সবাই শরদ পাওয়ারের বাড়ি চলে যান। সেখানেই বৈঠকে বিরোধীদের প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়। বিরোধীদের প্রার্থী চূড়ান্ত করারর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একবার আলোচনাো করা হয়নি। এই ঘটনা অসন্তুষ্ট তৃণমূল। তাই উপনির্বাচনে ভোট দান থেকে তৃণমূল বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান।
বিরোধী প্রার্থী নিয়ে সমস্যা নেই তৃণমূলের
বিরোধী শিবির যাঁকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করেছেন, তাঁকে নিয়ে সমস্যা নেই। বিরোধীরা মার্গারেট আলভাতে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে ঠিক করেছেন। তবে যেভাবে বিরোধীদের প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূলের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েদিয়েছেন, এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন করার প্রশ্নই নেই। তিনি সব সময় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলে গিয়েছেন। তিনি কেমন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তা সকলেরই জানা। তবে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে বিরোধী শিবিরে কোনও ফাটল দেখা দেবে না বলে তিনি মনে করছেন।
রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে বিরোধী ঐক্যে ফাটল দেখা দেবে না। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মহলে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একাংশ মনে করছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল অংশ না নিলে আদতে লাভবান হবেন এনডিএ প্রার্থী। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই তৃণমূল এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল কীভাবে বিজেপির সুবিধা করছে তা বোঝাতে পারলে আবার বৈঠকে বসা হবে।