পুলিশি চর বৃত্তির অভিযোগ! মাওবাদীদের গুলিতে মৃত ৩ আদিবাসী
সন্দেহভাজন মাওবাদী হামলায় ৩ আদিবাসীর মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ গাডচিরোলিতে।
সন্দেহভাজন মাওবাদী হামলায় ৩ আদিবাসীর মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ গাডচিরোলিতে। ঘটনাস্থল নাগপুর থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দূরে, ছত্রিশগড় সীমান্তের কাছে। পুলিশের চরের কাজ করার অভিযোগে এঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অ্যান্টি
টেরোরিস্ট
স্কোয়াডের
আঞ্চলিক
সদর
দফতরে
পৌঁছনো
খবর
অনুযায়ী,
টাটগাঁও
থানার
অধীনে
কসফান্ডি
ফাটার
কাছে
তিন
গ্রামবাসীর
দেহ
পড়ে
থাকতে
দেখা
যায়।
পুলিশ
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
দুদিন
আগে
সব
মিলিয়ে
ছয়জনকে
অপহরণ
করেছিল
মাওবাদীরা।
গুলি
করে
হত্যা
করার
পর
তাদের
দেহ
রাস্তায়
ফেলে
রেখে
যাওয়া
হয়।
মৃতরা হল, মাল্লা দোগে মাদাবি, কান্না রেনু মাদাবি এবং লাসু মাসা কুদেয়ইতি। এঁরা সবাই ভ্রমরাগড়ের কসপুণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাওবাদীদের বিশ্বাস, মৃতরা পুলিশের চর হিসেবে কাজ করে। ২০১৮-র এপ্রিলে কাসনাসুর-বোরিয়া এবং নাইনার ফরেস্টে দুটি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় প্রায় ৪০ মাওবাদীর। তাই হত্যা করে প্রতিশোধ নেয় তারা।
মাওবাদীদের দক্ষিণ গডচিরোলি ডিভিশনাল কমিটির তরফ থেকে দেহগুলির পাশে ব্যানারও দিয়ে দিয়েছিল। তাতে লেখাছিল, ৪০ সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল এই তিনজন পুলিশকে খবর দিয়ে দেওয়ায়। তারই প্রতিশোধ নেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, প্রায় একশো সশস্ত্র মাওবাদী শুক্রবার রাতে গ্রাম ঘিরে ফেলে। ছয়জনকে অপহরণ করে তারা। পরে অবশ্য তিনজনকে ছেড়েও দেয়।
গত বছরে এপ্রিলে দুটি সংঘর্ষের মৃত্যু হয়েছিল ৪০ মাওবাদীর। এর মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২২ এপ্রিল রেলা-কাসনাসুরের জঙ্গলে হওয়া সংঘর্ষ। বাকি ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল পরের দিন নেইনারে। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল মাওবাদীদের দুই নেতারও। তাঁরা হলেন, শ্রীনু ওরফে শ্রীকান্থ এবং শ্রীনাথ ওরফে দোলেশ মাধি আত্রাম।