লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে চকোলেট জমানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল, বলছে সমীক্ষা
লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে চকোলেট জমানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল, বলছে সমীক্ষা
আট থেকে আশি চকোলেট খেতে ভালোবাসে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া একটু মুশকিল। সম্প্রতি লখনউয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের (আইআইএমএস) পক্ষ থেকে এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে লকডাউনের সময়কালে ৪২ শতাংশ উপভোক্তা তাঁদের বাড়িতে চকোলেট মজুত করে রেখেছিলেন।
লকডাউনে চকোলেট মজুত করে রেখেছিলেন অনেকে
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, উপভোক্তারা মূলতঃ চকোলেট কিনে রাখেন তাঁদের বাড়ির শিশু সদস্যদের খুশি রাখতে ও খাওয়ার শেষপাতে মিষ্টি হিসাবে তা খেতে। আইএমআইএমএসের সেন্টার ফর মার্কেটিং ইন ইমার্জিং ইকোনমিস (সিএমইই) পরিচালিত সমীক্ষাটি লকডাউনের সময় কেনাকাটার অভ্যাস এবং গ্রাহকদের জীবনযাত্রার বিষয়ে আলোকপাত করেছিল।
খাদ্য সঙ্কটের ভয়
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের সময় ৩৯ শতাংশ উপভোক্তা নতুন ব্র্যান্ডের সঙ্গে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন যা সাধারণত তাঁদের কেনাকাটার তালিকায় থাকে না।দ্বিতীয় লকডাউনের সময় নিজেদেরপছন্দের ব্র্যান্ডের সঙ্গে আপোস করার ইচ্ছা বেড়েছে ৫৪ শতাংশ, যাতে নতুন ব্র্যান্ডগুলি বাজারে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ লকডাউনের সময় চাল ও ৬৫ শতাংশ মানুষ গম মজুত করে রেখেছিলেন। সবজির দিক দিয়ে মানুষ অনেক দিনের জন্য আলু-পেঁয়াজ মজুত করে রাখেন সবজির বদলে।
লকডাউনের সময় মানুষ নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি শিখেছে
স্বাস্থ ও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে লকডাউনের সময় তা অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গিয়েছে ৪০ শতাংশ ভোক্তা স্যানিটারি ন্যাপকিন, ন্যাপি এবং টিস্যু জাতীয় সামগ্রীর উদ্বৃত্ত মজুত কিনে রেখেছেন ও ৩৯ শতাংশ মানুষ জীবাণুনাশক এবং ৩৬ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত পরিস্কারের জিনিস কিনে মজুত রেখে দিয়েছিলেন। উপভোক্তারা রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর দিকেও মনোনিবেশ করেছেন আর তাই সম্পূরক হিসাবে ভিটামিন সি ও আমলকি কিনে রেখেছিলেন।
লকডাউনে কিভাবে দিন কেটেছে দেশবাসীর
মেট্রো শহর, প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের শহরের ৯৩১ জনের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমীক্ষা করে দেখা হয় যে লকডাউনের সময় তাঁরা কিভাবে সময় কাটিয়েছিলেন।সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৫৩ শতাংশ মানুষ সময় কাটিয়েছেন টিভি দেখে, অন্যদিকে ৪৫ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ও ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন এই সময়টা।শুধুমাত্র ২৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তাঁরা লকডাউনের সময় খবরের কাগজ ও বই পড়ে সময় কাটিয়েছেন।
রান্না, প্রাণায়াম, সোশ্যাল মিডিয়া, ঘুম
প্রায় ৪৪ শতাংশ জানান যে তাঁরা সময় কাটানোর জন্য নতুন নতুন রান্না করেছেন এবং ২০ শতাংশ প্রাণায়াম ও প্রার্থনা করেই লকডাউনের সময় অতিবাহিত করেছেন।অধ্যাপক সত্য ভূষণ দাশ, যিনি এই সমীক্ষার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নতুন স্বাভাবিক পথে জীবনকে দেখছি।পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো অভ্যাসে পরিণত সহ স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি পরিবারের সুস্থতা এখন উদ্বেগের বিষয়। বিপণনকারীরা এই মূল প্রয়োজনগুলিকে মাথায় নিয়ে কৌশল অবলম্বন করলে ভাল হবে।'
ভারতে করোনা যুদ্ধে প্রথম প্লাজমা -ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে! দিল্লি থেকে বড়সড় ঘোষণা