সেবামূলক হাসপাতালের কর ছাড় নিয়ে কড়া রিপোর্ট ক্যাগের
সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য হাসপাতালগুলিকে বিপুল পরিমাণ আয়কর ছাড় দেয় সরকার। আদতে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ হাসপাতাল এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ কম করে, না হলে একেবারেই করে না। এমনই রিপোর্ট দিয়েছে ক্যাগ
সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য হাসপাতালগুলিকে বিপুল পরিমাণ আয়কর ছাড় দেয় সরকার। আদতে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ হাসপাতাল এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ কম করে, না হলে একেবারেই করে না। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট দিয়েছে কম্পট্রোলার অ্যা্ন্ড অডিটর জেনারেল সংক্ষেপে ক্যাগ। আয়কর ছাড়ের সুবিধার অপব্যবহার বন্ধ করতে সমাজসেবামূলক হাসপাতাল বা ট্রাস্টের কাজের মাপকাঠি নির্দিষ্ট করার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে বলেছে ক্যাগ।
আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলি আয়কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারে। এই ধরনের অনেক সংস্থাই রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়, অথচ নিজেদের সংস্থাকে ট্রাস্টের অধীনে রেখে কর ছাড়েও দাবি করে। রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছেন ক্যাগ।
এই সেবামূলক কাজের সংজ্ঞাটাই কী, আয়কর আইনে সে বিষয়ে আইনে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই বলে জানিয়েছে ক্যাগ। ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আইনের এই সীমাবদ্ধতাকেই কাজে লাগিয়ে আয়কর ছাড়ের সুবিধার অপব্যবহার করছে ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণাধীন বহু হাসপাতাল। ক্যাগের রিপোর্টে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত বেশ কিছু কেসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত থাকায়, আয়কর বিভাগ সেইসব সংস্থাকে কর মকুব অস্বীকার করতে পারে না, বলেই জানিয়েছে ক্যাগ। এক্ষেত্রে বম্বে পাবলিক ট্রাস্ট অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করে ক্যাগের রিপোর্ট বলা হয়েছে, গরিবদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ১০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষণ, ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে হিসেবের থেকে কম মূল্যে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। বম্বে পাবলিক ট্রাস্টের আওতায় মহারাষ্ট্রে থাকা দশটি হাসপাতালের বেশির ভাগেই এই নিয়ম মানা হয় না। ক্যাগের জানিয়েছে, এই ১০টি হাসপাতালের প্রায় ৭৭ কোটি টাকা আয়কর মকুব করে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এতে হাসপাতালগুলি আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে। জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে। কিন্তু, শর্ত পূরণ না করলে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। ক্যাগের রিপোর্টে কলকাতারও বেশ কয়েকটি সেবামূলক ট্রাস্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।