সত্যপাল মালিককে নিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে, ভোটের কথা ভেবেই কী ঢোক গিলল গেরুয়া শিবির
সত্যপাল মালিককে নিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে, ভোটের কথা ভেবেই কী ঢোক গিলল গেরুয়া শিবির
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য। সত্যপাল মালিককে দল থেকে সরিয়ে দিতে চাইছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এই নিয়ে বিজেপির অন্দরে রীতিমত বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের কথা ভেবেইএখনই সেই সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতারা। কাজেই উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটের জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে তাঁদের।
সত্যপল মালিকের অপসারণ দাবি
মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপল মালিকের অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপির নেতারা। দলের অন্দরেই সত্যপল মালিককে নিয়ে বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিয়ে প্রকাশ্যে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল এবং বিজেপি নেতা সত্যপল মালিক। সেকারণেই তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তাঁদের অন্দরে। গতকয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে সত্যপল মালিকের অপসারণ দাবি করেছেন।
উত্তর প্রদেশের ভোট বালাই
কিন্তু সূত্রের খবর উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিজেপিকে। কারণ তার আগে সত্যপ মালিককে অপসারণ করলে হিতে বিপরীত ফল মিলতে পারে। সূত্রের খবর এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বিজেপি শীর্ষ নেতারা নাকি জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত সত্যপল মালিককে তাঁদের বয়ে নিয়ে যেতে হবে দলে। তার পরে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়া হবে।
সত্যপল মালিকের বিতর্কিত মন্তব্য
গত সোমবার মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপল মালিক প্রকাশ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। হরিয়ানার একটি অনুষ্ঠানে সত্যপল মালিক বলেছিলেন তিনি কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তিনি মোদীকে বলেছিলেন ৫০০ জন কৃষক মারা গিয়েছেন। তাতে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নাকি প্রধানমন্ত্রী জবাব দেন তাঁরা কি আমার জন্য মরেছে। এই নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এবং অমিত শাহের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কথা বললে, অমিত শাহ নাকি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী পাগল হয়ে গিয়েছেন। এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা। তারপরেই বিতর্ক পারদ চড়েছিল।
সাফাই বিজেপি নেতার
নিজের মন্তব্য নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের সাফাই দিয়েছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তিনি বলেন। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এরকম কোনও মন্তব্য অমিত শাহ করেননি। এবং কৃষি আইননি কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সময় না থাকায় তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ সম্পর্কে তিনি কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করেননি বলে দাবি করেছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল বিজেপি নেতার সেই ভিডিও। এই নিয়ে সরব হয়েছিল কংগ্রেস।