অতিবৃষ্টির প্রকোপে উত্তরাখণ্ডে ফের ভয়াবহ ধস, আটকে বহু বাঙালি পর্যটক, মৃত্যু ১ ট্রেকারের
অতিবৃষ্টির প্রকোপে উত্তরাখণ্ডে ফের ভয়াবহ ধস, আটকে বহু বাঙালি পর্যটক, মৃত্যু ১ ট্রেকারের
ফের অতিবৃষ্টির প্রকোপে উত্তরাখণ্ডে নেমে এল দুর্যোগ। ফের ভূমিধসে আটকে বহু পর্যটক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অজস্র বাঙালি পর্যটকও। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে। এরই মধ্যে এক ট্রেকারের মৃত্যু হয়েছে। আরও একাধিক ট্রেকার আটকে পড়েছেন। আটকে পড়া সবাইকেই পায়ে হেঁটে পাহাড় থেকে নামানো হচ্ছে।
হাঁটা পথেই পাহাড় থেকে নামানো হচ্ছে পর্যটকদের
অতিবৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের যমুনোত্রী রোডে ফের ধস নামে। ধসের কারণে আটকে পড়ে বহু পর্যটক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনেক বাঙালিও। ধস নামার খবর মিলতেই শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকার্য। উত্তরাখণ্ডের পুলিশ ও এসডিআরএফের দল তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে। অতি সতর্কতার সঙ্গে হাঁটা পথেই তাঁদের পাহাড় থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একজনের মৃত্যু হয়েছে, একজন গুরুতর আহত
আর একদিকে যখন এই উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে, অন্যদিকে ঘটে গিয়েছে হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্রবল ধসে এক ট্রেকারের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরকাশী থেকে ট্রেকিং করে চিটকূলের দিকে যাচ্ছিলেন একদল। সেই সময় চিটকূলের অদূরে একটি জায়গায় ধসে আটকে পড়েন একাধিক ট্রেকার। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিপর্যয় কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি পর্যটকরা
ওই চিটকূল সংলগ্ন এলকায় আরও কয়েকজন ট্রেকার আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল এখনও তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারেনি। তাঁদের খোঁজে পাঠানো হয়েছে একদল উদ্ধারকারীকে। জানা গিয়েছে, খিমলোগা পাস দিয়ে উত্তরকাশী থেকে চিটকূলের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেইসময় ঘটে বিপর্যয়। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেননি।
|
খিমলোগো পাসের কাছে ধস, আটকে পর্যটকৃ-ট্রেকাররা
সেইসময় খিমলোগো পাসের কাছে একজন পাহাড় থেকে পড়ে যাবন। আরেকজন হাতে গুরুতর আঘাত পান। কিন্নুর থেকে উদ্ধারকারী দল সেখানে গিয়ে ট্রেকার ও পোর্টারদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কিন্নুরের জেলাশাসক এই খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আইটিবিপি, হোমগার্ড ও পুলিশের বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সেখানে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন।
|
প্রবল বর্ষণে দেরাদুনে হড়পা বান নেমে আসে
হিমলাচপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অতিভারী বৃষ্টি চলছে। আগামী কয়েকদিন একইভাবে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাসে উদ্ধারকার্য ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রাজ্য আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে সিমলাতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণ চলছে, তার জেরে দেরাদুনে হড়পা বান নেমে আসে। আটকে পড়েন গ্রামবাসীরা।
দুর্যোগ নেমে এসেছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। দেরাদুনে তামাসা নদীর দলে বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলের তোড়ে কাংড়ায় ভেঙে পড়ে চাক্কি রেলসেতু। ফলে একটার পর একটা দুর্যোগ নেমে এসেছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। আপাতত আটকে পড়া পর্যটক ও এলাকাবাসীকে উদ্ধার করাই প্রধান লক্ষ্য।
ব্রিটেনে মাঙ্কি পক্সের নতুন প্রজাতির সন্ধান, হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত