তীব্র আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের উৎপাদন শিল্প, উঠছে পিএমআই সূচক
করোনা ধাক্কায় জিডিপির রেকর্ড পারাপতনের পরেও মন্দা কাটছে উৎপাদন শিল্পে
চার দশকে প্রথমবার রেকর্ড পরিমাণ আর্থিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে গোটা দেশ। সোমবার স্ট্যাটিস্টিক্স এণ্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেনটেশন’ মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে ভারতের বড়সড় জিডিপি সঙ্কোচনের চিত্র সামনে আসে। এদিকে তীব্র অর্থ সঙ্কটের মাঝেও ধীরে মন্দা কাটছে দেশের উৎপাদন শিল্প। এমনটাই জানা যাচ্ছে 'উত্পাদন ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচকের' তথ্যানুসারে।
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের উৎপাদন শিল্প
জুনের প্রথমার্থে আনলক পর্ব শুরু হলেও পরবর্তীতে একাধিক রাজ্যে স্থানীয় ভিত্তিতে লকডাউন শুরু হয়। যার জেরে শুরু দিকে খানিক মন্দা কাটলেও তা ফের জাঁকিয়ে বসে। যদিও পরবর্তীতে কেন্দ্রের তরফে একাধিক করোনা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের উৎপাদন শিল্প, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
কাটছে মন্দার কালো মেঘ
সূত্রের খবর, জুলাইয়ে পিএমআই সূচকে যেখানে জুনের তুলনায় বেশি সঙ্কোচনের যে কালোছায়া দেখা গিয়েছিল তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। জুনে পিএমআই-র পরিমাণ যেখানে ছিল ৪৭.২, জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়ায় ৪৬শে। এখন অগাষ্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২-তে।
বাড়ছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা আবহেই নতুন করে একাধিক শিল্প ক্ষেত্র চাঙ্গা হওয়াতেই একটু হলেও আগের থেকে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বাড়ছে কাঁচামালের চাহিদা। বাড়ছে রফতানিও। অনেক জায়গাতেই পুরোদমে শুরু হয়ে পুরোদমে উৎপাদন প্রক্রিয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে একটু একটু করে বাড়ছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও।
কি এই পিএমআই সূচক ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পিএমআই সূচক ৫০-এর উপরে থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি। ৫০-এর নীচে মানে সঙ্কোচন। সূত্রের খবর, টানা ৩২ মাস বৃদ্ধির ঘরে থেকে মার্চে ওই সূচক ছিল ৫১.৮। সেই মাসেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে আঘাত হানে করোনা। এপ্রিলে সূচক নেমে যায় ২৭.৪-এ। মে-জুন মাসে তা ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করলেও জুলাইয়ে ফের তা নিম্নমুখী বলে জানা যায়। বর্তামানে অগাষ্টে ফের তা বাড়তে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অবমাননা ফেসবুকের পদস্থ আধিকারিকদের,পাল্টা চাপ দিয়ে জুকারবার্গকে চিঠি রবিশঙ্করের