কৃষক আন্দোলন নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা, উঠল খালিস্তানি যোগের তত্ত্ব!
কৃষক আন্দোলন নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা দেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে খালিস্তানি যোগের অভিযোগ তুললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। এই প্রেক্ষিতে খট্টরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন অমরিন্দর সিংহ। এই প্রসঙ্গে খট্টরকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে অমরিন্দর জানিয়েছেন যে তিনি খট্টরের ফোনই ধরবেন না।

খালিস্তানি যোগ
এর আগে খট্টর বলেছিলেন, 'পাঞ্জাবের কৃষকরা প্রতিবাদ করছেন। হরিয়ানার কৃষকরা এই বিক্ষোভ থেকে দূরে। আমি হরিয়ানার কৃষক এবং পুলিশকে সংযম দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রতিবাদের পালে হাওয়া যোগাচ্ছেন। তাঁর দফতরের আধিকারিকরা এই প্রতিবাদের নেতৃত্বে রয়েছেন।' পাশাপাশি এই আন্দোলনে খালিস্তানি বিচ্ছিনাবাদীদের ইন্ধন যোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন খট্টর।

কাঁদানে গ্যাস বা জল কামান প্রয়োগের তীব্র নিন্দা
এদিকে এই আন্দোলনে কৃষকদের উপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস বা জল কামান প্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি ছাড়াও কংগ্রেস সরব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। কৃষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া এবং ঠান্ডায় জলকামান ব্যবহার করা নিয়ে হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগ
এদিকে রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, কৃষকদের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাঁর আরও দাবি, তাঁদের কেউ দমাতে পারবে না। এই বিশ্বের কোনও শক্তির সামনেই মাথা নোয়াবেন না তাঁরা। যতক্ষণ না কৃষক স্বার্থবিরোধী এই বিল প্রত্যাহার করে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন বিক্ষোভ জারি থাকবে।

শান্তিপূর্ণভাবে কৃষি আইনের প্রতিবাদ
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানানোর জন্য গতকাল বুরারির নিরঙ্কারি সমাগম গ্রাউন্ডে মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও আজ সকাল থেকে হরিয়ানা-দিল্লি বর্ডারে জমায়েত করেন কৃষকরা। দীর্ঘ সময়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লির উদ্দেশে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাবের কৃষকরা রওনা দিয়েছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, দিল্লির রামলীলা ময়দানে ৫০০টি সংস্থা এই আন্দোলনের অংশ হবে।
