রাহুলের জন্য পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিং! হঠাৎ কেন গান্ধীদের হয়ে সাফাই কংগ্রেসের?
কংগ্রেস কি পুরোপুরি গান্ধী পরিবারের অধীনে। শতাব্দী প্রাচীন এই দলের ক্ষমতা কি হাতে রাখার অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র গান্ধী পদবীর অধকারীদের কাছেই? এই প্রশ্ন নতুন নয়। তবে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বদল আসার সম্ভাবনা শুরু হতেই ফের এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে চলেছে। আর সেই বিতর্ক ধামাচাপা দিতেই ময়দানে নামল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, গান্ধীরা ক্ষমতার পিছনে দৌড়ান না। আর এর স্বপক্ষে যুক্তিও তুলে ধরা হয়।

রাহুল-প্রিয়াঙ্কা নিয়ে জল্পনা
সম্প্রতি রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকটমোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তারপরই গুঞ্জন শুরু হয় যে, তবে কি এবার ফেরার জন্যে প্রস্তুত রাহুল? রাহুলের ফিরে আসা নিয়ে যেরকম ধন্দ রয়েছে, সেরমই একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে যে কংগ্রেসের গদিতে বসতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। তবে এবিষয়ে বুধবার একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে।

কংগ্রেসের গদিতে গান্ধী না অ-গান্ধী?
প্রিয়াঙ্কার সেই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা বলছেন, তিনি চান না যে কংগ্রেসের মাথায় কোনও গান্ধী বসুক। প্রসঙ্গত, রাহুল যখন গতবছর পদ ছেড়েছিলেন, তখন তিনি এই কথাটাই বলেছিলেন। তবে এই ভিডিওটি নাকি একবছর পুরোনো। উল্লেখিত ভিডিও নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হতেই বিকেলে এনিয়ে মুখ খোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সুরজেওয়ালা এদিন দাবি করেন যে কংগ্রেসের পুরো ভরসা রয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের উপর।

বিতর্ক ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস
আর সুরজেওয়ালার এই দাবির পর ফের জল্পনা শুরু হয়, তাহলে রাহুলই ফিরছেন কংগ্রেস প্রধান হয়ে। আর এই জল্পনার সঙ্গেই ফের গান্ধী পরিবারের ক্ষমতার লালসার বিতর্ক উঁকি দিতে শুরু করে। আর সেই বিতর্ক ধামাচাপা দিতেই বহু পুরোনো সব তথ্য হাজির করে চাঞ্চল্যকর সব দাবি করল কংগ্রেস। মূলত বিজেপির আক্রমণ, দেশে চলতে থাকা স্বজনপোষণ বিরোধী মনোভাব থেকে বাঁচতেই আগেভাগে কংগ্রেসের তরফে এই সাফাই গান গাওয়া হচ্ছে।

পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিং
কংগ্রেস মুখাপত্র শক্তিসিং গোহিল এদিন দাবি করেন যে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিং। তবে রাহুল নাকি সেই সময় মনমোহনকে নিজের সময়কাল পূর্ণ করতে বলেন। এরপর সনিয়া গান্ধীর উদাহরণ টেনে এনে বলেন যে নরসিংহ রাও সনিয়াকে ক্ষমতায় বসতে বললেও সনিয়া সেই সময় নাকি সেটা করেননি।
চিন-নেপাল আতাঁত, লাদাখের পর এবার পারদ বাড়ছে লিপুলেখ সীমান্তে! ভারতকে চ্যালেঞ্জ ড্রাগন বাহিনীর