রাম রহিমের সাজার নেপথ্যে মনমোহন সিং, কী বলেছিলেন তিনি সিবিআইকে
গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। সম্প্রতি এই মামলার এক তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক এমনই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। সম্প্রতি এই মামলার এক তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক এমনই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করেই সিবিআইকে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মামলার প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক ও সিবিআই-এর অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি এম নারায়ণ জানিয়েছেন, মনমোহন সিং চিরকালই সিবিআইকে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:রাম রহিম এক বুনো পশু, বিচারক আর কী বলেছেন ডেরা সাচ্চা সওদা প্রধানকে]
এম নারায়ণ জানিয়েছেন, এই মামলায় পঞ্জাব ও হরিয়ানার সাংসদরা সিবিআই-এর ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। সেসময়ে তৎকালীন সিবিআই প্রধান বিজয় শঙ্করকে নিজের দফতরে ডেকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আদালতের কাছে দেওয়া দুই নির্যাতিতার বয়ান খতিয়ে দেখার পর এই মামলায় সিবিআইকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, এম নারায়ণ সিবিআই-এর প্রাক্তন প্রধান বিজয় শঙ্করেরও প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তদন্ত বন্ধ করতে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি বিজয় শঙ্কর। এমনকী খোদ পঞ্জাব - হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে ৫৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আদালতের নির্দেশ মতই ৫৭দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। কিন্তু সিবিআই-এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিতে নির্যাতিতার নাম বা পরিচয় ছিল না । এরপরই সিবিআই তদন্ত করে জানতে পারে, ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন সাধ্বী ডেরা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তদন্তে নেমে এরকমই ১০জন সাধ্বীর খোঁজ পায় সিবিআই। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই ততদিনে বিবাহিত এবং কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। আরও গভীরে নেমে দুজন সাধ্বীর খোঁজ মেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই চার্জশিট তৈরি করে সিবিআই।