'পিতামহ ভীষ্ম'-এর প্রয়াণে ভারাক্রান্ত মনমোহন, জানালেন বাজপেয়ী মহান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেলেন আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাজপেয়ীকে মহান প্রদানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বাজপেয়ীর বহুমুখী প্রতিভার কথা তুলে ধরে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। শোক প্রকাশ করেছেন আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও। মনমোহন বলেন, ভারত রত্ন অচল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ সংবাদ জেনে তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন বাজপেয়ী ছিলেন একজন অসাধারণ বক্তা, বড় কবি, ব্যতিক্রমী জনসেবক, অসামান্য সংসদবেত্তা ও মহান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন দুপুরে বাজপেয়ীর অবস্থা সঙ্কটজনক জেনে নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনও। বরাবরই অটল বিহারী সম্পর্কে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৮ সালে ইন্দো-মার্কিন পরমানু চুক্তি নিয়ে বিতর্কের সময় বাজপেয়ীকে তিনি ভারতীয় রাজনীতির পিতামহ ভীষ্ম বলে উল্লেখ করেছিলেন।
২০০৮ সালে ইউপিএ-১ সরকারের সময় আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করতে চেয়েছিল মনমোহনের সরকার। কিন্তু বিরোধী দল বিজেপি সংসদের দুই কক্ষেই প্রবল বিরোধিতা করেছিল ওই চুক্তির। সেসময়রাজ্যসভায় বলতে উঠে মনমোহন বাজপেয়ীকে ভারতীয় রাজনীতির পিতামহ ভীষ্ম বলে আক্রমণ করেছিলেন।
বলেছিলেন, মহাভারতে যেরকম ভীষ্ম অন্যায় জেনেও চুপ করেছিলেন, বাজপেয়ী যেন তা না করেন। বরং তিনি 'তাঁর বিবেকের কথা শুনুন এবং সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধে উঠে জাতীয় স্বার্থকে তুলে ধরুন'। তবে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে বাজপেয়ী যে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রদানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন তাঁকে অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ বলে স্বীকার করেছিলেন মনমোহন সিং।
I have learnt with profound sorrow about the sad demise of Bharat Ratna #AtalBihariVaajpayee ji. An excellent orator, an impressive poet, an exceptional public servant, an outstanding Parliamentarian and a great Prime Minister: Dr.Manmohan Singh (file pic) pic.twitter.com/2E23QHZpbf
— ANI (@ANI) August 16, 2018
[আরও পড়ুন: 'মহান সন্তানকে হারাল দেশ', অটল প্রয়াণে শোকবার্তা প্রাক্তন প্রতিপক্ষ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের]
বুধবার রাত থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্য় দেওয়া হয়েছিল।
গত ১১ জুন তারিখে কিডনি, বুক ও মূত্রনালীর সমস্যা নিয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী। এইমসেই এতদিন বাজপেয়ীর চিকিৎসা চলেছে। তাঁর ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। একটি কিডনিও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০০৯-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি ডিমেনশিয়ার আক্রান্ত হয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা ছিলেন বাজপেয়ী! বললেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ]