এই রাজ্যে চালু হল দেশের প্রথম 'ভাসমান স্কুল'
লোকতক হ্রদকে মণিপুরের লাইফলাইন বললে খুহব একটা ভুল বলা হয় না। এবার শিক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে চলেছে এই হ্রদ। কারণ দেশের প্রথম ভাসমান স্কুল এই হ্রদের উপরে গড়ে উঠেছে।
ইম্ফল, ১৩ ফেব্রুয়ারি : লোকতক হ্রদকে মণিপুরের লাইফলাইন বললে খুহব একটা ভুল বলা হয় না। বহু মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন এই হ্রদের উপরে ভরসা করে। এবার শিক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে চলেছে এই হ্রদ। কারণ দেশের প্রথম ভাসমান স্কুল এই হ্রদের উপরে গড়ে উঠেছে।[সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন এক ব্রিটিশ পুরুষ]
ইম্ফল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাম্পু খাঙ্গপক গ্রামে লোকতক হ্রদের উপরে লাঙ্গোলসাবি লেইকাইয়ে এই স্কুল গড়ে উঠেছে।[নারী-পুরুষ একে অপরকে ছাড়াই জন্ম দিতে পারবে সন্তানের!]
এই হ্রদকে কেন্দ্র করে এখানকার মানুষের জীবন গড়ে উঠেছে। বৈচিত্রপূর্ণ এই হ্রদে মৎস্যচাষ তো বটেই, বিভিন্ন ধরনের পাখির বাস এলাকার জীববৈচিত্র্যকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়া জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচের কাজ, পানীয় জল সরবরাহের কাজেও এই হ্রদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।[ইতালির এই গ্রামে প্রতি ৩ জনে ১ জন মানুষ শতায়ু!]
এহেন লেকের উপরেই চাম্পু খাঙ্গপক গ্রামে গড়ে উঠেছে ভাসমান স্কুল। গৃহহীন, স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের এখানে শিক্ষাদান করা হবে। আর এর ব্যবস্থা করেছে 'অল লোকতক লেক ফিশারর্সমেন ইউনিয়ন'। একে সাহায্য করেছে 'পিপল রিসোর্স ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন'।[আমাজনে 'ফুটন্ত নদী'-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা, এমন নদী পৃথিবীতে আর একটিও নেই!]
আপাতত প্রাথমিকের ক্লাসগুলিতেই ২৫জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্কুলের পথ চলা শুরু হয়েছে। আগামিদিনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শুধু কমবয়সীদেরই নয়, নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদেরও শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা হবে এই ভাসমান স্কুলে।