নাগাল্যান্ডের দাবানল এগোচ্ছে প্রতিবেশি রাজ্যের দিকে, সেনা–এনডিআরএফের সহায়তা চাইল মণিপুর সরকার
নাগাল্যান্ডের জুকো রেঞ্জ থেকে দাবানল ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে মণিপুরের সেনাপতি জেলায়। যে কারণে মণিপুর সরকার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনার থেকে সহায়তা চেয়েছে। মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডের জুকো রেঞ্জ, যা মণিপুরসীমান্ত সংলগ্ন, সেখানে আগুন ধরে যায় এবং তা ক্রমে মণিপুরের দিকে এগিয়ে আসছে।

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে করে সেনাপতি জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্য সচিব ডাঃ রাজেশ কুমার, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এল এম খোটে। এই জুকো উপত্যকা নাগাল্যান্ড ও মণিপুর সীমান্তে অবস্থিত। বিরেন সিং টুইটে বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছ থেকে এক্ষুণি ফোন পেলাম, তিনি জুকো ভ্যালির দাবানল নিয়ে আলোচনা করার পর হায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি যাতে দ্রুত ঠিক হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।’
মণিপুর সরকার এই পরিস্থিতিতে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে তাতে সহায়তা করার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোবাবিলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছে এবং সেনা ও অসম রাইফেলের সাহায্যও চেয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে জুকো উপত্যকায় গিয়েছেন দমকল বাহিনী, বন বিভাগের আধিকারিক ও মাও এলাকার স্বেচ্ছাসেবকেরা। এদিকে, বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনও বন বিভাগ, দমকল,পুলিশ এবং সায়োর স্বেচ্ছাসেবকরা দাবানলের আগুন নিভানোর চেষ্টা করছিলেন বলে সরকারিভাবে জানা গিয়েছে। নাগাল্যান্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কর্তৃপক্ষের ওএসডি জনি রুংমি জানিয়েছেন যে দাবানলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার চপার ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বন বিভাগের কর্মী, দমকল এবং জরুরি পরিষেবা, এসডিআরএফ, পুলিশ এবং দক্ষিন আঙ্গামি যুব সংস্থার (সায়ো) স্বেচ্ছাসেবীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ওএসডি জানিয়েছেন যে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার শুক্রবার আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার হতে পারে যদি প্রয়োজন পড়ে। নাগাল্যান্ডের গর্ভনর আর এন রবি জুকো উপত্যকা পরিদর্শন করেন বুধবার।
