মণিপুরে এগিয়ে কংগ্রেস, লজ্জার হার লৌহমানবী শর্মিলার, পেলেন মাত্র ৯০টি ভোট
মণিপুর নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে এগিয়ে নেই। লড়াই ছিল মূলত কংগ্রেস-বিজেপির। কংগ্রেস ২৬টি ও বিজেপি ২১টি আসন পেয়েছে।
ইম্ফল, ১১ মার্চ : মণিপুরে বিধানসভা ভোটে লৌহমানবী ইরম চানু শর্মিলাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন মানুষ। থৌবাল আসন থেকে লড়ে মাত্র ৯০টি ভোট পেলেন তিনি। এই আসনে নিজের তৈরি 'প্রজা' (পিপলস রিসারজেন্স অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালাইয়েন্স) দলের হয়ে শর্মিলা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।[বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ২০১৭: পাঞ্জাবে এগিয়ে কংগ্রেস, উত্তরাখণ্ডে পাল্লা ভারী বিজেপির]
এই ভোটে হারলেও তিনি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ফের দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছিলেন শর্মিলা। ফলে এবার হেরে লোকসভাকে তিনি টার্গেট করতে চাইবেন। শর্মিলা বলেছেন, আমি ফলাফল নিয়ে চিন্তিত নই। এটা মানুষের ভাবনার উপরে নির্ভর করে। মানুষের ভাবনা যেকোনও সময় বদলে যেতে পারে। তাছাড়া সবাই জানেন, টাকা ও পেশিশক্তিকে কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলি ব্যবহার করে চলেছে।[ ১৯৫২-২০১৭ : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাস একনজরে]
এমনিতে মণিপুর নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে এগিয়ে নেই। লড়াই ছিল মূলত কংগ্রেস-বিজেপির। কংগ্রেস ২৬টি ও বিজেপি ২১টি আসন পেয়েছে। দীর্ঘদিনের শাসন করা রাজ্য নিজেদের কাছে রাখতে পারে কিনা কংগ্রেস সেটাই এখন দেখার।[উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড় : কং-সপা-বসপাকে পিছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিজেপি]
প্রসঙ্গত, আফস্পা আইন নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন করেছেন ইরম চানু শর্মিলা। ২০০০ সালের নভেম্বর মাস থেকে মণিপুরে অনশন শুরু করেন শর্মিলা। কারণ তাঁর দাবি ছিল সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন আইন 'আফস্পা' [আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার্স) অ্যাক্ট] প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেই দাবি নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এরপরে ২০১৬ সালে অনশন প্রত্যাহার করে এবছর নির্বাচনে দাঁড়ান তিনি।[উত্তরাখণ্ডে ভরাডুবির পথে কংগ্রেস, বিরোধীদের সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপি ]