দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী মানিক! সৌজন্য সম্পর্কে এবার কাঁটা ছড়ালেন তাঁর ‘উত্তরসূরি’
সৌজন্যের রাজনীতি অতীত, এবার মানিক সরকারকে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন ‘স্নেহের’ বিপ্লব।
ভোটে জিতেই আশীর্বাদ নিতে ছুটে গিয়েছিলেন মানিক সরকারের কাছে। পায়ে মসনদেতাঁকহাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। মানিক সরকারও ত্রিপুরার উত্তরসূরিকে আশীর্বাদ করেছিলেন। সৌজন্যের রাজনীতি অতীত, এবার মানিক সরকারকে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন 'স্নেহের' বিপ্লব।
বিপ্লব দেবের কথায়, মানিক সরকার শুধু দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন না, ছিলেন সবথেকে নিষ্ক্রিয় মুখ্যমন্ত্রীও। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেন পরিবর্তনের ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, ত্রিপুরাজুড়ে মাদক চক্রের রমরমা চলছে। এত বছর ক্ষমতায় থেকেও তাঁর পূর্বসূরি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব। তাই ত্রিপুরা ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছিল তাঁর অভিমত। তিনি ক্ষমতায় এসে সুশাসন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
বিপ্লব বলেন, আমি মাত্র চারমাসের একটু বেশি ক্ষমতায় এসেছি। এর মধ্যেই ২০৪ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিপিএম সমর্থক। তিনি এই কারবার ধ্বংস করার শপথ নিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁর বিশ্বাস, ত্রিপুরা মাদকহীন রাজ্য হিসেবে পরিণত হবে। বাংলাদেশের সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়ে উঠবে। কারণ এখন মাদক কারবারে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। মাদকহীন রাজ্য হলে, আর সেই সংকট থাকবে না।
বিপ্লব দেবের অভিযোগ, সিপিএম ক্ষমতা থাকাকালীন এই কারবারের রমারমা চলে। তখন কোনও পদক্ষেপ নেননি মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ত্রিপুরার যুবসমাজ মাদক কারবার ও অনৈতিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস। মানিক সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস বলেও তিনি বর্ণনা করেন তিনি।