ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! 'অষ্টম বাম সরকার'-এর গেরোয় আটক বাংলা থেকে ত্রিপুরা
বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল। অষ্টম বাম সরকার হতে গিয়েও হল না।
১৯৭৭ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে জ্যোতি বসুর সরকার। তারপরে দীর্ঘ তিন দশকের বেশিসময় একটানা রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেছে বামেরা। আশির দশকে একে একে আরএসপি, এসপি, সিপিআই বামফ্রন্ট গড়ে তোলে সিপিএমের হাত শক্ত করে। একটানা সাতবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বামেরা শেষ স্বপ্ন দেখেছিল অষ্টম বাম সরকার গঠনের।
[আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় পদ্ম ফুটেছে ৮ মাসে, মমতার 'কষ্ট' লাঘব করতে দিলীপের লক্ষ্যমাত্রা ছ'মাস]
২০১১ সালের মে মাস সেই স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুদের স্বপ্ন ছারখার করে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার তৈরি করেছিল। অষ্টম বাম সরকার হতে গিয়েও হয়নি।
ত্রিপুরাতেও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল। ১৯৯৩ সাল থেকে একটানা ২৫ বছর ত্রিপুরা শাসন করার পর এবার জিতলে অষ্টম বাম সরকার গঠন হতো। তবে তা হল না। ত্রিপুরার মানুষ একেবারে প্রত্যাখ্যান করলেন বাম সরকারকে।
১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বাম সরকার বাংলায় গঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরে সরে গিয়ে অনূজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সরকারের দায়িত্ব হাতে তুলে দিয়ে যান জ্যোতি বসু।
২০০০-২০০১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বুদ্ধদেব মাত্র দশ বছরের বেশি মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। তাঁকে ও সরকারকে উৎখাত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৩৫ আসন থেকে একলাফে নেমে বামেরা ২০১১ সালে কমে দাঁড়ায় ৬২টি আসনে।
ত্রিপুরাতেও একই চিত্র। ১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রপতি শাসন শেষ হলে বাম সরকার ত্রিপুরায় সরকার গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হ দশরথ দেব। তারপরে ১৯৯৮ সালের নির্বাচনেও সিপিএম তথা বামেরা জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক সরকার।
সেই থেকে একটানা ২০ বছর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক কাজ করেছেন। তবে এবার গেরুয়া ঝড়ে দল নিয়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেলেন তিনি। বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও অষ্টম বাম সরকার গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
[আরও পড়ুন:নাগাল্যান্ডেও ইতিহাস তৈরির পথে বিজেপি! এনপিএফকে হারিয়ে সরকার দখল সময়ের অপেক্ষা ]