স্কুল শিক্ষিকার মাথা কেটে ৫ কিমি পথ পাড়ি! তারপর যা ঘটল বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে
স্থানীয় এক শিক্ষিকার মাথা কেটে তা হাতে নিয়েই পাঁচ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন মানসিক ভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খারসোয়ান জেলায়। স্কুলের কাছে শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় এক শিক্ষিকার মাথা কেটে তা হাতে নিয়েই পাঁচ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন মানসিক ভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খারসোয়ান জেলায়। স্কুলের কাছে শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ আর সাধারণ মানুষের তাড়ায় জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছিন্ন মাথা হাতে নিয়ে ৫ কিমি পথ যান ওই ব্যক্তি। ঘটনার প্রায় দু ঘণ্টা পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হরি হেমব্রম(২৬)।
সরাইকেলার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিনাশ কুমার জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় খাপ্রসাই প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিল দেওয়ার কাজ চলছিল।
অভিযুক্তকে গণপ্রহারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় পুলিশকে। ঘটনায় সরাইকেলা থানার ওসি রণবিজয় সিং-সহ চার পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মানসিক ভাবে অসুস্থ ওই ব্যক্তি স্কুলের কাছেই থাকত। স্কুলে ঢুকেই সে স্কুলের শিক্ষিকা শুক্রা হেসা(৩০)কে ধরে। এরপর টেনে বের করে তরোবারি দিয়ে ধর থেকে মাথা আলাদা করে দেয় বলে জানিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক।
খবর পেয়েই পুলিশ যায় এবং দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে ধরা রয়েছে ছিন্ন মাথাটি। বহু সংখ্যক মানুষও এলাকায় জড়ো হয়ে যায়। কিন্তু ওই ব্যক্তির হাতে দুটি তরোবারি থাকায় কেউই এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি।
সরাইকেলার ওসি জানিয়েছেন, এক সময় অভিযুক্তকে গুলি করে মারার চিন্তাও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রচুর মানুষ সেখানে থাকায় সেই কাজ করা যায়নি।
এরপর পুলিশ ও সাধারণ মানুষের তাড়ায় হেসেল গ্রাম থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে চলে যায়। সাধারণ মানুষ অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। দেখা যায় জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে সে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরে উন্মত্ত জনতা অভিযুক্তকে নারতে শুরু করে। তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে থানায় ফেরা মুশকিল হয়ে যায়। কোনও ক্রমে অভিযুক্তকে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে এবং পরে জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।