প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা সত্ত্বেও আইন হাতে তোলার প্রবণতা চরম, ফের গোরক্ষকদের হাতে মৃত ১
যেদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে গো-রক্ষার নাম নিয়ে মানুষ মারা বন্ধ করতে হবে, ঠিক সেই দিনই ঝাড়খণ্ডে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারে গোরক্ষকরা।
যেদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে গো-রক্ষার নাম নিয়ে মানুষ মারা বন্ধ করতে হবে, ঠিক সেই দিনই ঝাড়খণ্ডে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারে গোরক্ষকরা। আলিমুদ্দিন আজগার নামের ওই ব্যক্তি গোমাংস নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ভ্যানে , এই সন্দেহের বশে তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়।
পরে পুলিশ এসে উপস্থিত জনতার মারের হাত থেকে আলিুমদ্দিনকে বাঁচালেও, গুরুতর আহত আলিমুদ্দিনকে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অংসে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের একের পর এক খবর উঠে আসছে।
এর আগে, হরিয়াণার বল্লভগড়ে এক ১৫ বছরের কিশোরকে এই একই কারণে পিটিয়ে হত্যা করে গোরক্ষকরা। তারপর ঝাড়খণ্ডের এই ঘটনা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে, এক সরকারি কাজের জ্য নিয়ে যাওয়া গরু বোঝাই ট্রাকেও হামলা চালায় গোরক্ষকরা। সেঘটনা রাজস্থানের।
এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বিচলিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও । সারাদেশ জুড়ে নিরিহ নিরস্ত্রদের এভাবে মারধরের প্রতিবাদ উঠছে। হচ্ছে সমালোচনাও। একের পর এক সংখ্যালঘুদের এভাবে মারধরের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় ২০১৬ সালের বর্ধমানের আরেকটি ঘটনাকে । সে সময়ে বর্ধমানে মহরমের চাঁদা না দেওয়ায় ইন্দ্রজিত দত্ত নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকজন মুসলিম যুবক এই হত্যা করে বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক ঝামেলার পরিণতি বলে আখ্যা দিতে চায়নি পুলিশ।