ওসামা বিন লাদেনের নামে আধারকার্ড! তারপর যা হল তা থ্রিলার কাহিনিকেও হার মানাবে
ভারতে বসবাসকারীদের জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা আধারকার্ড চালু করা হয়েছে। কিন্তু, সেই আধারকার্ডে এবার নাম জুড়ল জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার মৃত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের।
আধারকার্ডের ফর্মে ওসামা বিন লাদেনের নাম। বাড়ির ঠিকানা অ্যাবোট্টাবাদ। জেলা ভিলওয়ারা। রাজ্য রাজস্থান। এমনকী, আধারকার্ডে যে ছবিটা দেওয়া হয়েছে তা অস্পষ্ট। কিন্তু ভাল করে দেখলে বোঝা যায় ছবিটি জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা-র প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনের।
যাকে মার্কিন নৌ-সেনার কম্যান্ডো বাহিনী পাকিস্তানের অ্যাবোট্টাবাদে রাতের অন্ধকারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে হত্যা করেছিল। সেই ওসামা বিন লাদেন-কে আধার কার্ডের পরিচয়পত্রের আবেদনে দেখে স্বাভাবিকভাবে চমকে গিয়েছিলেন দিল্লির অফিসাররা। দিল্লিতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার দফতরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এটা জঙ্গিদের কোনও নয়া ছক না অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তার খতিয়ে দেখতে শুরু হয় তৎপরতা।
খবর যায় রাজস্থান সরকারের কাছে। রাজস্থানের তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয় ভিলওয়ারা জেলা প্রাশাসনের সঙ্গে। সেখানকারই এক অফিসার সঞ্জয় আলুদিয়া একটি এফআইআর দায়ের করেন সৈয়দ মানসুরি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এরপরই সৈয়দ মানসুরিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে আধার কার্ড তৈরির অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন মানসুরি। তাঁর কম্পিউটার সিস্টেম থেকেই ওসামা বিন লাদেনের নামে আধার কার্ডের আবেদন করা হয়েছিল। ওসামার নাম ঠিকানা এবং ছবি দিলেও রেটিনা ইমেজ এবং বুড়ো আঙুলের ছাপ সহ বহু তথ্যই আবেদনপত্রে পূর্ণ করা ছিল না।
যদিও, মানসুরির দাবি, অন্য কেউ তাঁর আধারকার্ড করার সিস্টেমের ইউজার আউডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই কাজ করেছে। কিন্তু, ইউআইডিএআই-এর অফিসারদের দাবি, মানসুরির মদত ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। ওসামা-র নামে আধার কার্ডের আবেদন তাঁর নজরদারিতেই হয়েছে। সৈয়দ মানসুরির বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।