বিজেপি শাসিত রাজস্থানে এরাজ্যের মধ্য বয়সীকে কুপিয়ে-জ্বালিয়ে খুন
লাভ জেহাদের অভিযোগে রাজস্থানের রাজসমান্দে কুপিয়ে খুন করে, জ্বালিয়ে দেওয়া হল মধ্যবয়সীকে। পুরো ঘটনার ভিডিও করে অভিযুক্ত। মৃত ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
লাভ জেহাদের অভিযোগে রাজস্থানের রাজসমান্দে কুপিয়ে খুন করে, জ্বালিয়ে দেওয়া হল মধ্যবয়সীকে। পুরো ঘটনার ভিডিও করে অভিযুক্ত। মৃত ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:লাভ জেহাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন, বাবার ছবি হাতে খুনির ফাঁসির দাবি মেয়েদের]
লাভ জেহাদের অভিযোগ। মধ্যবয়সীকে প্রথমে মারা হয়। তারপর কুপিয়ে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বারবার আকুতিতেও মেলেনি প্রাণ ভিক্ষা।
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাটারিয়া।
রাজস্থানের রাজসমান্দে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা মহম্মদ আফরাজুল। ভিডিও-তে হামলাকারী শম্ভুলাল রেগার বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, রেগার আফরাজুলকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে।
হত্যাকারী সঙ্গে নিজের এক বন্ধুকেও পেয়ে গিয়েছিল। সেই পুরো ঘটনার ভিডিও করে। আফরাজুলের বারেবারে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও বিফলে যায়। কুঠার দিয়ে কুপানোর পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আফরাজুলকে।
ভিডিও-তে এক তরুণীকেও দেখা যাচ্ছে। এর থেকেই লাভ জিহাদের গুজব ছড়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তের বোনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল আফরাজুলের।
পুলিশ অর্ধদগ্ধ দেহটি উদ্ধার করেছে। খুনের ব্যবহৃত কুঠার এবং স্কুটারটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা ছাড়াও, ২০১ ধারায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও দায়ের করেছে রাজনগর পুলিশ।
রাজনগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, আফরাজুল রাজসমান্দ-এ শ্রমিকের কাজ করত। মাস তিনেক আগে কাজের উদ্দেশে যায় আফরাজুল। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও অবিবাহিত কন্যা রয়েছে। খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। ধৃত রেগারকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।