ছেলে বৌ-কে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাটারি বিস্ফোরণে মৃত এক ব্যক্তি
ছেলে বৌ-কে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাটারি বিস্ফোরণে মৃত এক ব্যক্তি
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার গুলাবি থোটায় বৈদ্যুতিক স্কুটারের ব্যাটারি বিস্ফোরণের এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে স্কুটারটি তিনি ঘটনার একদিন আগেই কিনেছিলেন৷ গুলাবি থোটার কোটাকোন্ডা শিব কুমার তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ব্যাটারি বিস্ফোরণের পর স্ত্রী এবং সন্তানরা জীবন রক্ষার জন্য লড়াই করছিলেন শিব কুমার৷ সে সময় অগ্নিদগ্ধ এবং দমবন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূর্যরাও পেট পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত কোটাকোন্ডা শিব কুমার (৪০) মারা যান। ধোঁয়ার মধ্যে শ্বাস নিতে না পারার কারণে তার স্ত্রী হারাথি (৩০) এবং দুই সন্তান বিন্দু শ্রী (১০) ও শশী (৬) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সূর্যরাও পেট সার্কেলের পরিদর্শক ভি. জানকি রামাইয়া শিবা কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে শিব কুমার,একজন ডিটিপি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। শুক্রবার করবেট১৪ নামের একটি বৈদ্যুতিক স্কুটার কিনেছিলেন শিবকুমার৷ শুক্রবার গভীর রাতে তার বাড়ির একটি ঘরে চার্জ করার জন্য এটি প্লাগ ইন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গাড়িটি বাড়ির সামনের দিকে ছিল এবং শিব কুমারের পরিবার পিছনের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন৷ রাত ৩টের দিকে ব্যাটারি বিস্ফোরন হয়৷
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সামনের ঘরে বিস্ফোরণের পর বাড়ির বৈদ্যুতিক তার পুড়ে ধোঁয়া বের হয়। তাড়াহুড়ো করে পুরো পরিবার রান্নাঘরে চলে গিয়েছিল এবং বেরোনোর পথ না থাকায় আটকে গিয়েছিল। আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বাড়ির ভিতরে আটকে থাকা পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ ও ১০৮ এম্বুলেন্সে খবর দেয়। শিব কুমারের স্ত্রী ও সন্তানদের চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।
স্কুটারের ব্যাটারি বিস্ফোরণের এই ঘটনা পুরো এলাকায় একেবারে প্রথম। তাই শিবের পরিবারে উপর নেমে আসা এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে বিহ্বল পুরো গ্রাম৷ তবে কিভাবে একটি নতুন কেনা স্কুটির ব্যাটারি বিস্ফোরণ হতে পারে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ একই সঙ্গে পুরো বিষয়টির দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত চেয়েছে নিহত শিব কুমারের আত্মীয়রা৷ একই সঙ্গে রাতে অনেকটা সময় ধরে কোনও ইলেকট্রনিক জিনিসকে চার্চে বসিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার বিষয়টি না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷