শিশু জুনেইদের পর এবার প্রৌঢ় উসমান, ঝাড়খণ্ডে গো-রক্ষা বাহিনীর তাণ্ডবে আধমরা হল বৃদ্ধ
গো- হত্যার সন্দেহে দুধ বিক্রতাকে গণধোলাই গো-রক্ষকদের, বাড়িতে আগুন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট
ফের গো-রক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব। এবার ঝাড়খণ্ডে। শুধুমাত্র গো- হত্যার সন্দেহ করেই এক নিরীহ দুধ বিক্রতাকে ব্যাপক গণধোলাই দেওয়া হল। এমনকী তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে ক্ষিপ্ত জনতা চড়াও হয় পুলিশের ওপরও। শূন্যে গুলি ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পাল্টা ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশকর্মী।
ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার ডেওরা এলাকা। ডেওরির বেরিয়া হাতিয়াতাঁড গ্রামের উসমান আনসারি পেশায় দুধ বিক্রতা। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে একটি মৃত গরু পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গেই উসমান আনসারির বাড়িতে চড়াও হয় তথাকথিত গো-রক্ষকরা। তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে গেলে প্রবল বাধার মুখে পড়ে পুলিশও। কোনওমতে উসমান ও তাঁর পরিবারকে এলাকা থেকে বের করে আনেন তাঁরা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে দু রাউন্ড গুলিও চালাতে হয় পুলিশ। এরপরই পাল্টা ইট ছুঁড়তে থাকে জনতা। ইটের ঘায়ে জখম হন কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশকর্মী। পায়ে পুলিশের গুলি লেগে আহত হয়েছেন দু'জন স্থানীয় বাসিন্দাও। উসমানকে ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে আনসারির গ্রামে।
দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, গো- রক্ষা সংক্রান্ত কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে দোষীদের রেয়াত করা হবে না। কিন্তু তাসত্ত্বে কমানো যায়নি গো-রক্ষকদের তাণ্ডব। কখনও উত্তরপ্রদেশ,কখনও রাজস্থানে লেগেই রয়েছে এই ধরণের ঘটনা।