রেস্তোরাঁয় পেঁয়াজ চেয়ে রক্তাক্ত যুবক, গ্রেফতার ২
বিশ্বাস না হলে মুম্বইয়ের মহম্মদ আলি রোডের 'শালিমার' রেস্তোরাঁয় যান। আর আপনার অর্ডার করা খাবারের সঙ্গে এক প্লেট পেঁয়াজ চান। তার পর যদি ওই রেস্তোরাঁর কর্মীরা আক্রমণ করে তখন যেন বলবেন না আগে সতর্কবার্তা পাননি। বিস্তরে জানতে যোগাযোগ করুন ২৩ বছরের ময়ূর পিরাটি যাদবের সঙ্গে। এই ঘটনায় তিনি ভুক্তভোগী।
শুক্রবার রাতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে জনপ্রিয় ওই রেস্তোরাঁয় যান ময়ূর। কিছু চিকেন স্টার্টার ও রান বিরিয়ানির অর্ডার দেন তাঁরা। ছয়জনের জন্য যে পরিমান পেঁয়াজ স্যালাড দেওয়া হয় তা যথেষ্ট নয় বুঝতে পেরে আরও কিছুটা পেঁয়াজ দিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়েটারকে বলেন ময়ূর। ওয়েটারও সম্মতি জানিয়ে চলে যান।
এর পর অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ওয়েটার আর ময়ূরদের টেবিলমুখোও হচ্ছিল না। এরও কিছুক্ষণ পরে ওই ওয়েটারকে ডেকেই ফের পেঁয়াজের কথা মনে করাতেই বিপত্তি। পেঁয়াজ চাইতেই গাঁইগুঁই শুরু করে দেন ওই ওয়েটার। পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে ছোটখাটো বক্তৃতাও শুরু করে দেন।
এতক্ষণ তাও ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে একথা জানাতেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ময়ূরের দিকে রুদ্রভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন ওই ওয়েটার। চেঁচিয়ে ওঠেন, 'পেঁয়াজের দাম নিয়ে আমায় জ্ঞান দিতে এসো না।' আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছুটে আসে অন্য আর এক ওয়েটার। ময়ূরের কলার ধরে রীতিমতো ধমকাতে শুরু করে তাঁকে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন ময়ূরের পরিবার। এর পরই ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় দু'দলে। উপস্থিত জনতাকে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে সমস্ত বাহির পথ বন্ধ করে দিতে উদ্ধত হয় শালিমারের কর্মীরা। ময়ূরকে লক্ষ্য করে একজন একটা কাঁচের গ্লাস ছুঁড়ে দেন। ওই গ্লাস লেগে ময়ূরের চোখের পাস থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। রক্ত দেখেই শালিমারের কর্মী গ্যাং বুঝতে পারে জল অনেকদূর গড়িয়ে গিয়েছে। এর পরই বন্ধু ও পরিবারসহ ময়ুরকে রেস্তোরাঁর বাইরে ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
এর পরই প্যাধনি থানায় দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে নেবে পুলিশ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মহমম্দ রিজওয়ান জিয়াউদ্দিন আহমেদ (২১) ও ওয়েটার বৃজবান আসারাম সিং (৩১)-কে গ্রেফতার করে। আইনের ৩২৬, ৩২৩, ৫০৪ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।