ধর্ষণের পর গলা কেটে দেহ ব্যাগে পুরে জঙ্গলে ফেলল যুবক, ভাগ্যের জোরে বাড়ি ফিরল নির্যাতিতা
ধর্ষণ করে ব্যাগে ভরে কিশোরীকে জঙ্গলে ফেলে দিল অভিযুক্ত, বাড়ি ফিরল নির্যাতিতা
এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাবালিকার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তারপর তাকে ব্যাগে পুরে এক জঙ্গলে ফেলে আসার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অসমের কাছাড় জেলায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বান্ধবী বলে উল্লেখ করেছে।
গলা কেটে খুনের চেষ্টা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ অক্টোবর নাবালিকা বান্ধবীদের সঙ্গে দুর্গাপুজো দেখতে যায়। কিন্তু তারপর আর নাবালিকা বাড়িতে ফেরে না। পরিবারের তরফে ৪ অক্টোবর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ৬ অক্টোবর অসম পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত নিজেকে নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু বলে উল্লেখ করেছে। জানিয়েছে, দুর্গা পুজো দেখতে যাওয়া নিয়ে অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদের সঙ্গে নাবালিকা দুর্গাপুজো দেখতে যেতে চেয়েছিল। সেই নিয়ে অশান্তি চলছিল দুজনের মধ্যে।
জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় কিশোরীকে
নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ৩ অক্টোবর একটি পুজা প্যান্ডেলে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি ফেরেনি। ৪ অক্টোবর সকালে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই বিকেলে নাবালিকা ফিরে আসে। নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া যুবক প্রথমে নির্যাতিতার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। তারপর ব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে আসে। কোনও রকমে সেখান থেকে নির্যাতিতা বাড়িতে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নাবালিকা যখন ফিরে আসে, তার পোশাক ছেঁড়া ছিল। গলায় গভীর ক্ষত ছিল।
গুরুতর অবস্থা নির্যাতিতার
নির্যাতিতা বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতিতার অবস্থা গুরুতর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নির্যাতিতা। পুলিশ এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার বয়ান নিতে পারেনি। তবে পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবক প্রথমে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে তারপরেই খুন করার চেষ্টা করে। যুবককে এড়িয়ে অন্য একজনের সঙ্গে দুর্গা পুজো দেখতে যাওয়ার জেরেই বচসার সৃষ্টি হয়। অসম পুলিশ ওই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।