রাজ্যের ঋণমকুবের দাবি নিয়ে আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী-মমতা বৈঠক
নয়াদিল্লি, ৯ মার্চ : রাজ্যের ঘাড়ে চাপা বিপুল ঋণের বোঝা কমানোর আবেদন ও এব্যাপারে উপযুক্ত কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস, আজ সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এটাই অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এককভাবে ক্ষমতায় আসার ৯ মাস পরে এই প্রথমবার নিজে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র বিরোধিতা করে এসেছেন মমতা। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে সেইসব তিক্ততাকে পিছনে সরিয়ে রেখে একেবারে খোলামনে রাজ্যের সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হবেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এতদিন তিনি অপেক্ষা করেছেন ঋণ মকুব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয় কিনা দেখার জন্য। অর্থ কমিশনের রিপোর্টেও সে সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য নেই দেখে নিজেই দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি আলোচনার বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোদীর একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, আজ দুপুর ১২টায় সংসদে নিজের ঘরে মমতার সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। সেখানে বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
এর আগে স্রেফ মোদীর মুখোমুখি হওয়ার জন্যই দিল্লিবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সম্মানে দেওয়া প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নৈশভোজে হাজির হন মমতা। অথচ মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ তো দূরের কথা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রীতিমেনে শুভেচ্ছাবার্তা পর্যন্ত পাঠাননি। যা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণের কথা স্বাভাবিক ভাবেই মানছেন না মমতাও। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, এটা রাজনীতির বিষয় নয়। অর্থনীতি ও উন্নয়নের বিষয়টি যে আলাদা তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।