'চিকেনস নেক' সহ সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতার
বাংলার সুরক্ষা নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
বাংলার সুরক্ষা নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় বাংলায় সবসময়ই অনুপ্রবেশ সহ নানা ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। শুধু পাশের বাংলাদেশ নয়, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলার আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। ফলে ভৌগলিক দিক থেকে এই রাজ্য অন্য রাজ্যের থেকে অনেক বেশি আলাদা এবং গুরুত্বপূর্ণ।
অমিতের সঙ্গে বৈঠক
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও ভূটান, নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এছাড়াও আমাদের রাজ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আমাদের এই উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করতে হয়। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা করেছেন।
চারিদিকে সীমান্ত
শিলিগুড়িতে একটি বিস্তৃত এলাকা আছে যেটিকে 'চিকেনস নেক' বলে ডাকা হয় এই অঞ্চলটিকে। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল দিয়েই অন্যান্য রাজ্য থেকে শিলিগুড়ি করিডোর হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে যাওয়া হয়। এছাড়াও এই চিকেনস নেকের দুই দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ চিকেনস নেক
বছর দুয়েক আগে ডোকলাম নিয়ে যখন চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব চলছে, সেই সময় এই চিকেনস নেক খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠেছিল। কারণ চিনা সেনা যদি ভূটান হয়ে আরও দক্ষিণে নেমে আসে, তাহলে একেবারে অদূরেই পড়ে এই চিকেনস নেক। এবং এই পর্যন্ত চিনা সেনা চলে এলে এবং এই এলাকা দখল করলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ এক মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
ডোকলাম ইস্যু মাথায়
সেই আশঙ্কা থেকেই ভারত ডোকলাম ইস্যুতে অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল। যার ফলে চিনা সেনা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এদিন সীমান্ত সুরক্ষা ও এমনই নানা বিষয়ে মমতা-অমিত কথা হয়েছে বলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
[ রাজীব কুমার ইস্যু কি আলোচনায় এল? সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফের 'স্পিকটি নট' মমতা]
[ রাজীব কুমারের ফোন নম্বরের খোঁজ শুরু সিবিআই-এর! কলকাতা জুড়ে তল্লাশিতে দাপুটে অফিসাররা ]