ফারাক্কা ব্যারেজের সংস্কার নিয়ে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত মমতা
ফারাক্কা ব্যারেজের সংস্কার নিয়ে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খরগহস্ত মমতা
কয়েক
বছর
ধরে
ফারাক্কা
ব্যারেজের
সংস্কার
না
করা
নিয়ে
এবার
কেন্দ্রকে
দোষারোপ
করলেন
মমতা।
চলতি
সপ্তাহের
মঙ্গলবার
মুর্শিদাবাদের
বহরমপুরে
একটি
প্রসাশনিক
বৈঠকে
এই
বিষয়ে
সুর
চড়াতে
দেখা
যায়
তাকে।
এই
বিষয়ে
বারবার
আবেদন
করলেও
রাজ্য
সরকারের
কথায়
কেন্দ্র
কোনও
রূপ
কর্ণপাত
করেনি
বলেও
এদিন
অভিযোগ
করেন
তিনি।
ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পলি জমে ব্যারেজের নব্যতা ক্রমেই কমে আসছে বলেও জানান তিনি। একইসাথে কমছে ব্যারেজের জলধারণ ক্ষমতাও। তার জেরে ভারী বৃষ্টির সময় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি প্রায়শই প্লাবিত হয়ে পড়ছে। সভায় উপস্থিত জেলার উর্ধতন এক সরকারি আধিকারিক মমতাকে জানান এর আগে ২০০৫ সালে একবার ব্যারেজটির পলি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তা এখনও পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি।
পাশপাশি এদিন তিনি জেলার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিরও তদারকি করেন। বাংলাদেশের রাজসাহী রেশম মতো বাংলার রেশম গুলিও একই পদ্ধতিতে উত্পাদন করা হলেও সেগুলির গুণমাণ খুব একটা ভালো হচ্ছে না বলে জানান মমতা। বাংলায় ভালো মানের রেশম বস্ত্র তৈরি হলে তা লাভজনক ব্যবসার পরিসর খুলে দেবে বলেও মনে করেন তিনি। মহিলাদের মধ্যে এটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথাও তুলে ধরতে দেখা যায় তাকে। ওই বৈঠক থকেই সরকারি কর্মকর্তাদের তিনি দ্রুত রেশমের মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অন্যান্য কারণে চাষিদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে রাজ্য সরকারের 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের আওতায় সকল কৃষককেই ফসল বীমার সম্পূর্ণ সুযোগ সুবিধা দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতির উপযুক্ত প্রমাণপত্র প্রদানের পর প্রত্যেক চাষিকে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২,৩৬,০০০কৃষককে চেক সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসাথে রাজ্য সরকারের 'স্বাস্থ্য বিমা যোজনার' অধীনে তাদের নামও নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ৩১