মেঘালয়ে ‘প্রক্সি সরকার’ চালাচ্ছে বিজেপি! নির্বাচনের মুখে কেন এমন কথা বললেন মমতা
মেঘালয়ের 'প্রক্সি সরকার' চলছে বলে দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের জনসভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি জানালেন মেঘালয়ের প্রক্সি সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই সরকরা মানুষের জন্য কিছু করেননি।
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনাদের সরকার পাঁচ বছরে কী কাজ করেছে, তার রিপোর্ট কার্ড দিন। ওরা কোনওদিন কোনও কাজ করে না। শুধু বিভ্রান্তি ছড়ায়। এখানে প্রক্সির সরকার চালিয়ে মেঘালয়ের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।
মমতা মেঘালয়ের মানুষের উদ্দেশে বলেন, বিজেপিকে একদম বিশ্বাস করবেন না। ওরা শুধু ভাঁওতা দেয়। আমরাই একমাত্র আপনাদেরকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নততর প্রশাসন দিতে পারি। আমরাই বদলাতে পারি বিজেপির এই প্রক্সির সরকারকে। কিন্তু কেন বারার মেঘালয়ের সরকারকে প্রক্সির সরকার বলে কটাক্ষ করলেন মমতা?
মমতা বলেন, গুয়াহাটিতে এক ডিফ্যাক্টো চিফ মিনিস্টার আছেন মেঘালয়ের। তিনি গুয়াহাটি থেকে মেঘালয়ের সরকার চালান। তাঁর রিমোট কন্ট্রোলে চলে মেঘালের এনপিপি-বিজেপি জোট সরকার। অর্থাৎ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এখানে শুধু প্রক্সি দেন। আলে সরকরা চলে গুয়াহাটির রিমোর্ট কন্ট্রোলে।
তাই মেঘালয়ে যে সরকারটা চলে সেটাকে প্রক্সির সরকার বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বলেন, আমরা আপনাদের যে সরকার দেব, সেটা হবে আপনাদের নিজেদের সরকার। মেঘালয়ের মানুষের সরকার। মমতা বলেন, মনে রাখবেন আমরা মাথা নীচু করি না। আমরা মানুষের পাশে থাকি। মানুষকে নিয়ে সরকার চালাই।
মেঘালয়ে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই প্রচর যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন মমতা। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মেঘালয়ে কংগ্রেস ভেঙে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। কগ্রেসকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে তৃণমূল এখানে মূল চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগাম প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে চাইছে।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটাতে এনপিপির সঙ্গে জোট করেছিল বিজেপি। কংগ্রেস বৃহত্তম পার্টি হয়েও সরকার গড়তে পারেনি মেঘালয়ে। ৬০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আসন। আর ২০টিতে জয়ী হয়েছিল এনপিপি। বিজেপি পেয়েছিল দুটি আসন।
বিজেপি দুটি আসন নিয়েই কিংমেকার হয়ে উঠেছিল মেঘালয়ে। এনপিপি-সহ একাধিক দলকে সম্মিলিত করে কংগ্রেসকে আটকেছিল। কংগ্রেস হয়েছিল প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূল এখানে প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে। সমীকরণ বদলে যায় মেঘালয়ের। সেই আঙ্গিকে এবারের ভোট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মমতার প্যাশন রাজনীতি, মেঘালয়ের মানুষের হৃদয় জিততে ভাষা শেখার আবদার জনসংযোগে