For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

সিএএ-এনআরসি দিয়েই কি বাজিমাত করবেন মমতা! উত্তর-পূর্বে সম্প্রসারণে নয়া কৌশল

সিএএ-এনআরসি দিয়েই কি বাজিমাত করবেন মমতা! উত্তর-পূর্বে সম্প্রসারণে নয়া কৌশল

Google Oneindia Bengali News

বাংলায় বিরাট জয়ের পর বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা এবং অসমকে টার্গেট করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। শুধু দলের সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যেই নামছে না তৃণমূল, মমতার দলের লক্ষ বিজেপিশাসিত দুই রাজ্যে বিজেপিকে জবরদস্ত ধাক্কা দেওয়া। সে জন্য তৃণমূল তৈরি হচ্ছে শক্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। টার্গেট করছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্যের জন্য ভিন্ন কৌশল

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্যের জন্য ভিন্ন কৌশল

যদিও ২২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে, আরও একটা বড় পরীক্ষা রয়েছে। ২০২৩-এ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিতে চায় তৃণমূল। সে জন্য এখন থেকেই ত্রিপুরার লক্ষ্য ময়দানে নেমে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে মহাজোট গড়ার আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্যের জন্য ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন।

নাগরিকত্ব এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ

নাগরিকত্ব এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা ও অসমে তাঁর দলের সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন সম্প্রতি। তার জন্য বাংলার নির্বাচনী কৌশল থেকে এরেবারে ভিন্ন কৌশলও নিয়েছেন। ত্রিপুরা ও অসমে নাগরিকত্ব এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের নেতাদের ওই দুটি বিষয়কে ইস্যু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৮ সালে অসমে প্রয়োগ করা হয়েছিল এনআরসি

২০১৮ সালে অসমে প্রয়োগ করা হয়েছিল এনআরসি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পর্যন্ত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস বা এনআরসি-র তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ২০১৮ সালে অসমে প্রয়োগ করা হয়েছিল এনআরসি। তার ফলে ২০১৯ সালে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১.৯ মিলিয়ন মানুষ বাদ পড়েছিল। কারণ তারা প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি যে, তাদের পরিবার অসমে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের আগে বাস করত বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগে তারা ভারতে বাস করত

সিএএ এখনও কোনও রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়নি

সিএএ এখনও কোনও রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়নি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী। সিএএ এখনও কোনও রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়নি, যদিও সংসদে গত বছর বিলটি পাস হয়েছিল। এই আইন ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈনদের দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদান করতে তৈরি হয়।

অসম ও ত্রিপুরায় দলের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা তৃণমূলের

অসম ও ত্রিপুরায় দলের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা তৃণমূলের

ত্রিপুরায় ২০২৩ সালে ভোট হবে এবং তৃণমূল ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর অসমে ২০২৬ সালে নির্বাচন। বাংলার সঙ্গে অসমে আগামী বিধানসভা নির্বাচন হবে। তাই তৃণমূল আগামী বছরগুলিতে আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে জোট গড়ে ধীরে ধীরে এই রাজ্যে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চায় এবং সম্প্রসারণ পরিকল্পনার প্রয়োগ ঘটাতে চায়।

টার্গেট ২০২৩-এ ত্রিপুরা, ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন

টার্গেট ২০২৩-এ ত্রিপুরা, ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন

ত্রিপুরায় মাত্র ৬০টি বিধানসভা আসন এবং অসমে ১২৬টি। উভয় রাজ্যেই জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলা ভাষায় কথা বলে। স্বভাবতই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশের উত্তর-পূর্বের এই দুই রাজ্যকে টার্গেট করেছে। আপাতত ২০২৩-এ ত্রিপুরা এবং ২০২৪-এ বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা-অসমে ভালো ফল করাই লক্ষ্য।

নাগরিকত্ব ইস্যু এখনও অসমে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে

নাগরিকত্ব ইস্যু এখনও অসমে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে

অসমে নাগরিকত্ব এখনও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সিএএ-র সঙ্গে তুলনা করলে, তারিখের পার্থক্য নাগরিকত্ব ইস্যুকে আরও জটিল করে তুলেছে। আদিবাসী অসমিয়া জনগণ আশঙ্কা করছে যে, নতুন আইন প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশ থেকে নতুন প্রবাহ আসতে পারে। ফলে এই ইস্যুকে অস্ত্র করতে মুখিয়ে রয়েছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি এবং টিএমসি উভয়ই বাংলায় এনআরসিকে একটি ইস্যু করেছিল।

অসমে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা, বাংলার সঙ্গে ফারাক

অসমে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা, বাংলার সঙ্গে ফারাক

এখানে উল্লেখ্য, ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে, অসমের জনসংখ্যার ৬১.৪৭ শতাংশ হিন্দু, আর মুসলমান ৩৪.২২ শতাংশ। অসমের মুসলিম জনসংখ্যা বাংলার মুসলিম জনসংখ্যার থেকেও বেশি। ২০১১ সালের জনগণনায় বাংলায় মুসলিমের সংখ্যা ছিল ২৭.০১ শতাংশ। বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম বলে মনে করা হয়।

অসমে বাংলাভাষী, বিজেপিকে টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেসের

অসমে বাংলাভাষী, বিজেপিকে টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেসের

তৃণমূলের কথায়, আমরা বিজেপিকে টার্গেট করেছি। কারণ অসমে এনআরসির তালিকাভুক্ত ১.৯ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ১.২ মিলিয়ন বাংলায় কথা বলেন। তাঁদের অনেককে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রচার করেছিল যে বাংলার ৩০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার একটি অংশ বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত এবং এটি আমাদের ভোট ব্যাংক।

বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ত্রিপুরা নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল

বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ত্রিপুরা নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল

আর ত্রিপুরায়, যেখানে টিএমসি ২০১৮ সালে রাজ্য নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছিল, সেখানে ৮৩.৪০ শতাংশ মানুষ হিন্দু এবং মাত্র ৮.৬ শতাংশ মাত্র মুসলিম। এই ছোট রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসন, বিশেষ করে চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ ত্রিপুরায় এসেছিল। ১৯৭০-এর দশক থেকে এটি একটি সমস্যা। এখানে তৃণমূল ইস্যু করছে বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে। সিপিএম ত্রিপুরায় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ এবং ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিল। ২০১৭ সালে ব্যাপক দলবদলে রাজ্যে টিএমসির ঘাঁটি ভেঙে পড়ে। তৃণমূল উপজাতীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে ত্রিপুরীদের সমর্থন পায়নি।" এবার বিজেপিতে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙনের সুর। তাই তৃণমূল আশাবাদী।


খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

English summary
Mamata Banerjee takes different strategy for Tripura and Assam to increases TMC with CAA and NRC issue,
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X