যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পাশে বাংলা, মুশকিল আসানের ভূমিকায় মমতা
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পাশে বাংলা, মুশকিল আসানের ভূমিকায় মমতা
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন পর্যন্ত ৩৯১ জন পডুয়া ইউক্রেন থেকে ফিরে এসেছেন বাংলায়। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ইন্টার্নও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রীরাও। তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। জনে জনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে আর্জি জানালেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান বাংলায় পড়াশোনা করতে চান কারা। ১০০ শতাংসই সম্মতি জানান। মমতা জানান, বাংলার সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। মেডিকেল কতলেজে ইন্টার্নশিপ দেবেন তিনি। এবং স্টাইপেন্ডও দেবেন। মেডিকেল কাউন্সিলের কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে ফোর্থ, ফিফথ ও সিক্সথ ইয়ারদের ইন্টার্নশিপে কাজে লাগানোর জন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের কাছে মুশকিল আসান হয়ে উঠলেনষ। কল্পতরূ হয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ইন্টার্ন হিসেবে কাজের সুযোগও তৈরি করে দিলেন। মেডিকেল কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে তাঁদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি। বলেন, একটু সময় লাগবে প্রসেস করতে। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদেরও পড়াশোনার ব্যবস্থাও করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মেডিকেল ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কমিশন আপত্তি করলে তোমাদের নিয়ে দিল্লিতে দেখা করব।
ইউক্রেন ফেরত ছাত্রদের প্রতিটি সমস্যার সমাধান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে পড়ুয়াদের কোন বছর নষ্ট না হয়, তার নির্দেশও দেন আধিকারিকদের। প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হচ্ছে ফোর্থ, ফিফথ ও সিক্সথ ইয়ারদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে পড়ুয়াদের মন জিতে নেন।
ছাত্রছাত্রীদের তরফ থেকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনতে যেভাবে তৎপর হয়েছে বাংলার সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, তাতে ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন।
বাংলায় যে ৩৯১ জন ফেরত এসেছেন, তাদের মধ্যে ইউক্রেনে কর্মরত ছিলেন জনা তিনেক। পড়াশোনা শেষ করে তাঁরা কাজ পেয়েছিলেন ইউক্রেনে। তারা কাজ হারিয়েছেন ইউক্রেনে। তারা যাতে বাংলার কাজ পান, তার বন্দোবস্তও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর দফতরীদের নির্দেশ দেন ইউক্রেন ফেরত তিন তরুণের কাজের বন্দোবস্ত করতে। একইসঙ্গে তিনি ছাত্রছাত্রীদের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে দেওয়ার কথাও জানান। তা থেকে ইউক্রেনে সব হারানো ছাত্রাছাত্রীরা ফের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।