আর আঞ্চলিক নয়, এবার সপ্তম জাতীয় দলের মর্যাদা পেল মমতার 'তৃণমূল'
নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর : ৩৪ বছরের বাম রাজ্যত্বকে শেষ করে টানা ২ বার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্যে নয়া পালক যোগ হল। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় দলের মর্যাদার উন্নীত হল তৃণমূল। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিল দিদিমণির দলকে।
কমপক্ষে চারটি রাজ্যে স্বীকৃত আঞ্চলিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ১৯৬৮ সালের নির্বাচনী চিহ্ন নির্দেশের একটি শর্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আর তারই জেরে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্যানেল তৃণমূলকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মণিপুর, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে রাজ্যের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় অবশেষে জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই সঙ্গে ভারতে মোট ৭টি জাতীয় দলের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়া তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে দেশের সাতটি জাতীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত দল হল কংগ্রেস, বিজেপি, বিএসপি বা ভারতীয় সমাজ পার্টি, সিপিআই, সিপিএম, এনসিপি এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
২২ আগস্ট নির্বাচনী প্যানেলের সংশোধনী আইনের জেরে রাজনৈতিক দলগুলির জাতীয় ও রাজ্য দল এর অবস্থান ৫ বছরের বদলে প্রতি ১০ বছরে রিভিউ করা হবে। এই নয়া আইন লাগু না হলে তৃণমূলের পক্ষে জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়া সম্ভব হত না। কারণ অরুণাচল প্রদেশে গত নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। ফলে এই রাজ্যে স্বীকৃত দলের তকমাও খোয়াতে পারত তারা।
এই নয়া সংশোধনী আইন শুধু তৃণমূল নয় বিএসপি, এনসিপি এবং সিপিআই-এর ক্ষেত্রেও অক্সিজেনের কাজ করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অত্যন্ত খারাপ ফলের কারণে জাতীয় দলের মর্যাদাও খোয়াতে পারত তারা। নির্বাচন কমিশন এই মর্মে নোটিশও দিয়েছিল দলগুলিকে। তবে নয়া সংশোদনী আইনের জেরে এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছে এই তিন দলও।