মোদীর দাক্ষিণ্যে ‘সিবিআই’ এখন ‘বিবিআই’! মমতাদের বাক্যবাণে প্রশ্নে স্বাধীনতাও
সিবিআইয়ের নতুন নামকরণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একযোগে সিবিআইকে নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, সিপিএম ও আম আদমি পার্টিও।
সিবিআইয়ের নতুন নামকরণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একযোগে সিবিআইকে নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, সিপিএম ও আম আদমি পার্টিও। তুমুল বিতর্কের মধ্যে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ছুটিতে পাঠিয়েছে মোদী সরকার। তাই বিরোধীদের সমালোচনা একযোগে সরব হলেন বিরোধীরা। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন। লোকসভার আগে ফের ইস্যু পেয়ে গেল বিরোধীরা।
ভোর রাতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা
ভোর রাতের সিদ্ধান্তে ছুটিতে গিয়েছেন সিবিআই কর্তা। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে কেন মোদী সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিল। এবং তা কেন নেওয়া হল ভোররাতে। তাই বিরোধীরা নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিল কেন্দ্রের বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকারকে।
|
রাফাল দুর্নীতি যোগ!
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুললেন, সিবিআই কর্তা অলোক বর্মাকে অপসারণের পিছনে রাফাল দুর্নীতির যোগ নেই তো! রাতের অন্ধকারে নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সেই সন্দেহ হচ্ছে এখন। এর জবাব মোদী সরকারকে দিতে হবে। দুর্নীতি করে ধামাচাপা দিতে পারবে না। মানুষ এর জবাব চাইবে।
|
কেজরি-প্রশ্নে মোদী-এক্তিয়ার
কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন মোদী সরকারের এক্তিয়ার নিয়েও। তিনি বলেন, সিবিআইকে ছুটিতে পাঠানোর পিছনে কোন গুপ্ত কারণ রয়েছে? কোন আইনে সিবিআই কর্তাকে ছুটিতে পাঠাল মোদী সরকার? এই সরকার জানেই না স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার প্রধানকে নিয়োগ করা হয় লোকপাল আইন অনুয়ায়ী।
|
সিবিআই এখন বিবিআই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারের এই ‘কীর্তি'র জবাব দিতে সিবিআইয়ের নামই বদলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন- এসব দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই এখন নাম পাল্টে বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন হয়ে গিয়েছে। এখন আর সিবিআই নয়, হয়ে গিয়েছে বিবিআই। সত্যিই তা বড়ই দুর্ভাগ্যের।
|
সিবিআইয়ের স্বাধীনতার সমাধি
কংগ্রেসের তরফে আবার দাবি করা হয়েছে, মোদী সরকারের আমলে সিবিআইয়ের স্বাধীনতা সমাধিতে পরিণত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে নিশানা করে তীব্র সমালোচনায় বেঁধেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি লেখেন, সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে সিবিআইয়ের স্বাধীনতার সমাধি হয়েছে।
|
বিজেপি রাঘব-বোয়ালরা আড়াল
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বলেন, সিবিআই কর্তা অলোক বর্মাকে অন্যায়ভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যে অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাঁকে আড়াল করা হচ্ছে। আসলে এই তদন্ত হলে বিজেপির অনেক রাঘব বোয়ালদের কীর্তিকলাপ সামনে চলে আসবে। তাই সিবিআই কর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হল।