২০১৯-এ বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নার্ভাস, রাহুলকে জোটবদ্ধ নেতৃত্বের বার্তা মমতার
সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জোটবদ্ধ নেতৃত্বের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেনিয়ার বাসভবনে গিয়ে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যা কথা হওয়ার, সেই কথাই হয়ে
সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জোটবদ্ধ নেতৃত্বের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেনিয়ার বাসভবনে গিয়ে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যা কথা হওয়ার, সেই কথাই হয়েছে। বিজেপিকে হারাতে আমাদের এক হতে হবে। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নার্ভাস হয়ে গিয়েছে, তাদের এবার ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। সেই রাজীব গান্ধীর সময় থেকেই আমি দিল্লিতে এলেই ১০ জনপথে আসি। এবারও এসেছি। সোনিয়াজির সঙ্গে কথা হয়েছে, এই বৈঠকে রাহুলও উপস্থিত ছিলেন। আমাদের মধ্যে এনআরসি নিয়ে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২০১৯-এর লক্ষ্য নিয়েও কথা হয়েছে। ২০১৯-এ জোটবদ্ধ লড়াইয়ের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে কোনও একক নেতৃত্ব নয়, জোটবদ্ধ নেতৃত্ব নিয়ে কথা হয়। এই বৈঠকে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট সমীকরণ নিয়েও রাহুল-সোনিয়া-মমতার কথা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাহুল গান্ধী কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনে নিতে তাঁর আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটবদ্ধ নেতৃত্বের বার্তা দেন। সেইসঙ্গে এদিন এনআরসি নিয়ে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদে যদি একসঙ্গে লড়াই করা যেতে পারে, তাহলে ভোট ময়দানে কেন একসঙ্গে লড়াই করা যাবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে ভোটে লড়াই হোক একসঙ্গে, তারপর আমাদের নেতৃত্ব ঠিক হবে। আমরা সবাই রাজা।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় এনআরসি হলে সবার আগে ফল ভুগবেন বিপ্লব দেব! স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু বিদ্রুপ]
উল্লেখ্য, দিল্লিতে পৌঁছেই মমতা বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন মঙ্গলবারই। তা অব্যাহত রেখেই আরও এক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছেই বিজেপি সাংসদ লালকৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিজেপির এক বিদ্রোহী কীর্তি আজাদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। সংসদ ভবনে তিনি বৈঠক করেন কংগ্রেসের দুই সাংসদ গুলাম নবি আজাদ ও আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। এরপর একে একে কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ প্যাটেল, বিজেপির বিদ্রোহী সাংসদ কীর্তি আজাদ, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন, রামগোপাল যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউথ ও কেরালা কংগ্রেসের জোসেফ মান্ডির সঙ্গে বৈঠক করেন।
[আরও পড়ুন:মমতা-প্রশাসনের ছাড়পত্র, এনআরসি-বিতর্কের মাঝেই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ]