রাহুল এসএমএস করে, সোনিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যবস্থা মমতার, বাজল জোটের ঘণ্টা
‘রাহুল এসএমএস করে। যোগাযোগ রাখে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা দরকার। তাঁর শরীর এখন ভালো যাচ্ছে না। সেই কারণে দলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে দায়িত্ব দেন।’
দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদীর হটাতে জোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির সেন্ট্রাল হলে অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে মমতা সবাইকে এক মঞ্চে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন। আর সূত্রধর যে হবেন তিনিই, তাও বুঝিয়ে দিলেন এদিন। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কংগ্রেসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান, তা প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সংসদে মমতার সঙ্গে দেখা কুণালের! পাঁচ বছর পর সাক্ষাতেও ধরা পড়ল পুরনো আবেগ]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাহুল এসএমএস করে। যোগাযোগ রাখে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা দরকার। তাঁর শরীর এখন ভালো যাচ্ছে না। সেই কারণে দলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে দায়িত্ব দেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে।' তিনি বলেন, 'আমরা বৃহত্তর স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ছি। সবার আগে দেশকে রক্ষা করা দরকার। সেই কারণে ছোটোখাটো সমস্যা দূরে সরিয়ে সবাইকে এক মঞ্চে আসতে হবে।'
[আরও পড়ুন:'সৌভাগ্য' আসছে বাংলার বুকে! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও এক উদ্যোগ মমতার]
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, ছোটখাটো ছুৎমার্গ ধরে বসে থাকলে চলবে না। কংগ্রেসকে নিয়েই যে জোট করার দরকার, সেই বার্তাই দিয়েছেন মমতা। দিল্লিতে বসেও কংগ্রেসকে ত্রিপুরার জোট-প্রস্তাব নিয়ে বিঁধে মমতা বলেন, কর্ণাটকেও কংগ্রেসের জোট করা উচিত ছিল দেবেগৌড়ার সঙ্গে। আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ে চললে বিজেপি নামক কোনও শক্তিও উঠে আসতে পারবে না। কংগ্রেসের জয়ের পথ আরও মসৃণ হবে। এবং আগামীদিনেও ২০১৯-এর লক্ষ্যে জোট আরও শক্তিশালী হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন দলত্যাগী আরও এক! মুকুলের প্রতিক্রিয়ায় উল্টো জল্পনা]