মোদী-বিরোধী জোটে মুখ মমতাই! প্রশ্নে ফেডেরাল ফ্রন্ট নাকি নয়া মডেলের ইউপিএ
মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই মোদী বিরোধী জোটের মুখ তিনিই। বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে দিল্লিতে সমস্ত দলই আবর্তিত হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে।
২০১৯-এর রণদামামা বাজতে শুরু করেছে এখন থেকেই। রাজধানীতে জোট-তৎপরতা তুঙ্গে। আর এই মোদী-বিরোধী জোটের মধ্যমণি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন নয়া জোটে, সেই প্রশ্ন পরে। তবে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই মোদী বিরোধী জোটের মুখ তিনিই। বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে দিল্লিতে সমস্ত দলই আবর্তিত হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির তিন বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। আগের দিনই তিনি এনসিপি, আরজেডি, ডিএমকে নেতার সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন। এছাড়া শিবসেনার সঙ্গেও বৈঠক হয় মমতার। যোগাযোগ রাখছেন বিজেডি, এআইএডিএমকেও। টিআরএস ও টিডিপি তো রয়েছেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসকেও দরকার এই জোটে। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী না হলে বিজেপির পতনের পথ প্রশস্থ হবে না। সেই কারণেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বুধবার রাতেই তিনি বৈঠক করতে চলেছেন। মোট কথা, একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া দরকার। ফেডেরাল ফ্রন্ট নাকি ইউপিএ থ্রি। সেটা চূড়ান্ত করেই এগোতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত মত, ইউপিএ থ্রি। অবশ্যই তা হবে নয়া মডেলে। এমনিতেই বর্তমানে ইউপিএ-তে রয়েছে ১২টি দল। তারপরও অবশ্য সোনিয়া গান্ধী বর্তমানে তাঁর ডাকে সাড়া পাচ্ছেন ১৯ দলের। এছাড়াও বাইরে থাকছে টিডিপি, টিআরএস, বিজেডি, শিবসেনা, এআইএডিএমকে-র মতো দলগুলি।
এদেরকেও যদি একই মঞ্চে আনা যায়, তবে একপ্রকার বিজেপির ক্ষমতা অবসানের পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন সেদিকেই নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ১০টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন মমতা। আরও অনেকেই এই লাইনে রয়েছেন। মমতা এই দিল্লি সফরে তাঁদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বৈঠকের চেষ্টা করা হচ্ছে অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর সঙ্গেও।
আগে সোনিয়া গান্ধীও চেয়েছেন, মমতাই এই জোটে সূত্রধরের কাজ করুন। তার কারণ, বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপি বিরোধিতায় আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতাকে সামনে রেখেই সোনিয়া এগোতে চান। তার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি রাজনীতিতে একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
কারণ ২০১১ পর্যন্ত তিনি সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। বর্তমানে তিনি পরিষদীয় রাজনীতি করলেও, দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজে লাগিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবার নরেন্দ্র মোদীকে মাত দিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।