কুমারের শপথে যাচ্ছেন মমতা, শপথের মঞ্চেই অবিজেপি দলগুলির জোটে ’১৯-র বার্তা
সোমবার কংগ্রেসের সমর্থনে জেডিএসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী
আড়াইদিনের ইয়েদুরাপ্পা সরকার পতনের পর কর্ণাটকে নতুন সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস ও জেডিএস। সোমবার কংগ্রেসের সমর্থনে জেডিএসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীও।
আদতে কর্ণাটক জোট সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে মোদী বিরোধী জোট গঠনের নয়া এক মঞ্চ। ২০১৯-এর লক্ষ্যে বিরোধী ঐক্য তৈরি করার প্রয়াস চলছে অনেকদিন ধরে। কিন্তু তা জমাট বাঁধছিল না কিছুতেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেপথ্য ভূমিকা নেন কংগ্রেস ও জেডিএসকে মিলিয়ে দিতে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক ফ্লোর টেস্ট লাইভ: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন কুমারস্বামী]
কর্ণাটকের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যস্থতা করছিলেন। কংগ্রেসের সমর্থনে জেডিএসকে সরকার গঠনের আর্জি জানানোর পাশাপাশি ফোনে দেবেগৌড়ার সঙ্গে আলোচনা ও আর্জি এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা কুমারস্বামীকে প্রয়োজনীয় বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী জোট অটুট রাখার জন্য তিনি ধন্যবাদও দেন। সেইসঙ্গে নতুন সরকার গঠনের জন্য অভিনন্দন জানান কুমারস্বামীকে।
এদিন আবার তিনি ফোনও করেছিলেন জেডিএস সুপ্রিমো দেবেগৌড়া ও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দেবেগৌড়া পুত্র কুমারস্বামীকে। তখনই কুমারস্বামী তাঁকে আমন্ত্রণ জানান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলস্বরূপ সোমবার তিনি কর্ণাটক সফরে যাচ্ছে। আসছেন রাহুল-সোনিয়াও। উপস্থিত থাকতে পারেন অন্যান্য জোটপন্থী মুখ্যমন্ত্রীরাও। আদতে এই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হতে চলেছে মোদী-বিরোধী জোটের মঞ্চ।
[আরও পড়ুন: শেষের শুরু বিজেপির! কর্ণাটক থেকে রাহুলের জয়যাত্রায় আনুগত্যকে 'স্যালুট' কংগ্রেসের ]
উল্লেখ্য, শনিবার কর্ণাটকের সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ নিয়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পতন ঘটে। আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। তারপরই নতুন সরকার গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়। আগেই কুমারস্বামী রাজ্যপালের কাছে কংগ্রেসের সমর্থনের সরকার গড়ার আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। এদিন সেই দাবি নিয়েই তিনি রাজ্যপালের কাছে যান। সোমবার তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এখন এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনীতির কোনদিকে অগ্রসর হয়, সেদিকের দৃষ্টি রাজনৈতিক মহলের।