বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ মমতার! মোদীর ইমেজকে ব্যবহারের চেষ্টা, কটাক্ষ দিলীপের
দু'বছর পর ফের একবার রাজ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হতে চলেছে। গত কয়েকদিন আগেই তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের ২০ ও ২১ এপ্রিল এই দুদিন কলকাতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুত
দু'বছর পর ফের একবার রাজ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হতে চলেছে। গত কয়েকদিন আগেই তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের ২০ ও ২১ এপ্রিল এই দুদিন কলকাতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বুধবার পিএমও দফতরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। রাজনৈতিকভাবে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারন এই বৈঠকে রাজ্যের একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকি বিএসএফ ইস্যুতেও সরব হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে পথচলার বার্তাও দিলেন তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্য থাকবেই, কিন্তু তার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কাম্য নয়। আর সেই কারনে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানিয়েছি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর সেই আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন বলেই দাবি তাঁর। ফলে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের।
ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমেজকে ব্যবহার করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েক বছরে কোনও বিনিয়োগ হয়নি। আর তাই এবার মোদীকেই চাইছেন তিনি। যদিও দিলীপের এহেন দাবী উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে এটাই তো কাম্য।
তবে সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মমতা আরও বলেন, শিল্প বাণিজ্যে উন্নতি ছাড়া কোনও রাজ্যের উন্নতি সম্ভব নয়। বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন। রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের পাটশিল্পে নজর দেওয়ার দাবি করেছেন। সারা দেশের মধ্যে এই রাজ্যে চটকলের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সারা দেশে চটের ব্যবহার যাতে বাড়ানো যায়, সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট হবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও এদিন এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বকেয়া মেটানো। এছাড়াও বিএসএফ ইস্যুতেও মোদীর কাছে সরব হয়েছেন তিনি।