মমতা দিল্লি সফরের প্রথমেই হাওয়ালা-যোদ্ধা বিনীত-সকাশে, ধনখড় ইস্যুতে জল্পনা
তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর প্রথমবার দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারদিনের সফরে তিনি দিল্লি পা দিতেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জৈন হাওয়ালা মামলার প্রথম তদন্তকারী সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ।
তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর প্রথমবার দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারদিনের সফরে তিনি দিল্লি পা দিতেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জৈন হাওয়ালা মামলার প্রথম তদন্তকারী সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ। তাঁদের সাক্ষাতে ফের উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ইস্যু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার রাজ্যপাল জগদাপ ধনখড় জৈন হাওয়ালা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তারপর দিল্লি সফরে গিয়েই জৈন হাওয়ালা মামলার তদন্তকারী সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনেক জল্পনার জন্ম দিয়ে গেল। তিনি কি তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে নথি জোগাড় করতেই এই বৈঠক করলেন, প্রশ্ন উঠে পড়ল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন। বৈঠক করবেন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবারের বৈঠক থেকেই বিজেপি-বিরোধী জোটের সূচনা হতে চলেছে। তারপর বিনীত-সাক্ষাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে জল্পনা বাড়ালেন। জগদীপ ধনখড়কে জৈন হাওয়ালা মামলায় তোপ দাগার পর এই সাংবাদিক ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মমতাকে।
মমতা অভিযোগ করেন, ধনখড় ১৯৯৩ সালের জৈন হাওয়ালা মামলায় জড়িত। এরপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিবৃতি দিয়ে জানান, এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। রাজ্যপাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ প্রমাণ করুন তথ্যা দিয়ে। তারপর সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের সঙ্গে মমতার সাক্ষাতে জল্পনা বাড়ে।