মমতার বাড়িতে সিবিআই পাঠাতে পারে মোদী! ‘আপ্যায়নে’র ব্যবস্থা একেবারে পাক্কা
দিল্লির যন্তরমন্তরে আপের ধরনা মঞ্চ থেকে গর্জে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, কালই আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দিতে পারেন মোদীবাবু।
দিল্লিতে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারকে সিবিআই নিয়ে খোঁচা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির যন্তরমন্তরে আপের ধরনা মঞ্চ থেকে গর্জে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, কালই আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দিতে পারেন মোদীবাবু। এভাবে বিরোধিতা করার জন্য সিবিআই পাঠাতে পারে।
পরক্ষণেই মোদী সরকারকে তোপ দেগে হুঁশিয়ারি দেন, কবে সিবিআই আসবে জানিয়ে দেবেন। আমি নিজে হাতে নিরামিষ, আমিষ বা রুটি বানিয়ে রাখব। আসলে এরা শুধু ভয় দেখায়। কিন্তু জেনে রাখবেন, আমরা কাউকে ভয় পাই না। দেশে ডেমোক্রেসি বিপন্ন, মোদীক্রেসি চলছে। সেসবই আর বেশিদিন নয়। গণতান্ত্রিকভাবে বিদায় নেবে সিবিআই-এজেন্সির ভয় দেখানো এই সরকার।
মমতা বলেন, এই সরকারের সিবিআই-এজেন্সির ভয় দেখানো ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। এসব আর বেশিদিন চলবে না। কেউ ভয় পাবেন না। কী করবেন ওঁরা, বড়জোর জেলে পাঠাবেন। আর একমাসের মধ্যেই ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। তারপরই শুরু হবে কোড অফ কন্ডাক্ট। তারপর মানুষ ওঁদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেবে।
মমতা বলেন, কেন্দ্রের সরকারের এক্সাপায়েরি ডেট হয়ে গিয়েছে। সংসদে শেষদিন হয়ে গেল মোদী সরকারের। এই সরকারকে ভয়ের কোনও কারণ নেই। এই সরকারে প্রধানমন্ত্রী কাউকে বিশ্বাস করেন না, নিজের জয়েন্ট সেক্রেটারি থেকে আইপিএস, আইএএসদের বিশ্বাস করেন না, বিশ্বাস করেন না নিজেদের মন্ত্রীদেরও। তাঁদের উপরও চলছে নজরদারি।
এদিন রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দেওয়া নিয়েও তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থায় চেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে কত লোককে মেরে দিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে মারছে। আর বাংলায় গিয়ে পুলিশের মেডেল কেড়ে নেবে বলছে, নগরপালের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দিচ্ছে। এসবের অবসান হবে, মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর।