মোদীর মরিয়া-বাজেটে যে সব খাতে কমল বরাদ্দ, একে একে ধরিয়ে দিলেন মমতা
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে মোদী সরকার কল্পতরু হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই এই বাজেটকে মরিয়া বাজেট বলে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে মোদী সরকার কল্পতরু হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই মোদী সরকারের এই বাজেটকে মরিয়া বাজেট বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার এক মাস বাকি থাকতে কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্তদের জন্য প্রতিশ্রুতিকে এক্সপায়েরি বাজেয় বললেন তিনি।
একশো দিনের কাজ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক ও শ্রমিকদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে একশো দিনের কাজে কোনও বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ নেই গ্রামীণ অর্থনীতিতে। বছরে ছ-হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষান্ত মোদী সরকার, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য কিছুই নেই বাজেটে।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট
স্কিল ডেভেলপমেন্টেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে এই বাজেটে। লোকসভা ভোটের দিকে চেয়ে বাজেট পেশ করতে গিয়ে ভোট অন অ্যাকাউন্টকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের রূপ দেওয়া হয়েছে, অথচ স্কিল ডেভেলপমেন্টে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৩.৪ শতাংশ। অথচ নোটবন্দির পর থেকে গত এক বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে হু-হু করে।
এসসি-এসটি-ওবিসি
তপশিলি জাতি ও উপজাতি এবং অগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে। তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে ২৯.০৯ শতাংশ। অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে ২০.৮ শতাংশ।
উজালা প্রকল্প
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উজালা প্রকল্পেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ৪৯.৯ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। নোটবন্দি থেকে শুরু করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার।