বিজেপির কথায় ভুলবেন না, তৃণমূলকে ভোট দিন, ধুবড়ির জনসভায় বললেন মমতা
অসমের মাটিতে এবার প্রথম লোকসভা ভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচনী জনসভা করল তৃণমূল।
অসমের মাটিতে এবার প্রথম লোকসভা ভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচনী জনসভা করল তৃণমূল। রাজ্যের বাইরে এই প্রথম কোনও দলীয় জনসভায় উপস্থিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অসমের ধুবড়িতে জনসভা করেন মমতা। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বিল ইস্যুতেই বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, বিজেপি ভুল বুঝিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করে ক্ষমতায় এসেছে। ভোট মিটে গেলেই ফের এনআরসি চালু করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলবে। তাই বিজেপিকে ভোট না দিয়ে কেন্দ্রের সরকার ফেলে দিন।
নতুন শুরু
মমতার তৃণমূল অসমে ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। অসমকে সংগঠনকে মজবুত করতে মমতা দায়িত্ব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে। এদিন তিনি জানান, অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে ৯টিতে আমরা লড়ছি। এত সহজে তৃণমূলকে বাদ দেওয়া যাবে না। ছোট বলে অবজ্ঞা করবেন না। আমরাই একদিন অসম জয় করে দেখাব।
বিজেপিকে তোপ
এনআরসি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, ৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে। এদের বিদেশি বানিয়ে দেশ থেকে ভাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে আমরাই আন্দোলন করেছি। তখন কেউ পাশে ছিল না। আমাদের বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সংসদে এটা নিয়ে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করেছে।
বঞ্চনার অভিযোগ
মমতার অভিযোগ, শুধু মুসলমানদেরই নয়, হিন্দুদেরও দেখছে না বিজেপি। এনআরসি তালিকা থেকে ২২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ মুসলমান বাদ গিয়েছেন। এছাড়া, বিহারি, নেপালিরাও রয়েছেন। এনআরসি দিয়ে দেশের নাগরিকদেরই বিদেশি বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
ভাগাভাগির রাজনীতির বিরোধিতা
বিজেপি ভাগাভাগির রাজনীতি করে ক্ষমতায় এসেছে। তাঁদের এই রাজনীতি আর করতে দেবেন না বলে আর্জি জানিয়ে মমতা বলেন, বিজেপির ললিপপ আর খাবেন না। এই ললিপপ ধরিয়ে বিজেপি মানুষের গণতন্ত্র, অধিকার সবকিছু কেড়ে নেবে।
[আরও পড়ুন:নোটবন্দি থেকে এয়ারস্ট্রাইক, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথোকথনেও মোদীকে আক্রমণ রাহুলের]
ভোট দিন তৃণমূলকে
শেষে মমতার আর্জি, বিরোধীদের ভোট দিয়ে সরকারে এনে তো দেখল অসমের মানুষ। একবার বলব তৃণমূলকে ভোট দিতে। বাংলায় যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, কৃষকরা ভাতা পাচ্ছেন, মেয়েরা ভাতা পাচ্ছেন, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন, সেভাবেই অসমে উন্নয়ন হবে। একসঙ্গে এগিয়ে যাবে অসম ও বাংলা।
[আরও পড়ুন: দশ বছর দার্জিলিঙের প্রতিনিধিত্ব পেয়েও হতাশ করেছে বিজেপি; কোনও নীতিই নিতে পারেনি ]
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর সব রকমের আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে]