‘আমি হিন্দু, হিন্দুত্ব নিয়ে আমি গর্বিত, আর হিন্দুত্বের কলঙ্ক হল বিজেপি’, তোপ মমতার
ঠেলায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এখন ফলাও করে ঘোষণা করতে হচ্ছে, ‘আমি হিন্দু, হিন্দুত্ব নিয়েই আমি গর্বিত।’ নিজের হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করেই বিজেপিকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভুবনেশ্বর, ২০ এপ্রিল : ঠেলায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এখন ফলাও করে ঘোষণা করতে হচ্ছে, 'আমি হিন্দু, হিন্দুত্ব নিয়েই আমি গর্বিত।' নিজের হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করেই বিজেপিকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী রাজ্যে দাঁড়িয়েই তিনি তোপ দাগলেন, 'হিন্দুত্বের কলঙ্ক হল বিজেপি। এরা দেশের সামনে এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎকে এনে দিচ্ছে।'
পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সংখ্যালঘু তোষণকে একহাত নিয়ে মন্দিরের সেবায়েত সম্মিলনী তাঁর মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এর পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলে পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের দিকে সরাসরি নিশানা করলেন।
সাংবাদিক বৈঠকেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে হিন্দুত্বের রাজনীতি নিয়ে সরব মমতা। তারপর ফেসবুকেও তোপ দাগলেন বিজেপিকে লক্ষ্য করে। ফেসবুকে মমতা লেখেন, রাজনৈতিকভাবেক মোকাবিলা করতে না পেরে, হিন্দুত্ব ইস্যু তুলে তাঁর বদনাম করা হচ্ছে। দেশের সামনে এক ভয়াবহ ভবিষ্যৎকে আহ্বান করছে বিজেপি।
এদিন ফেসবুকে নিজেকে হিন্দু বলে জাহির করে মমতা লেখেন, হিন্দুত্ব নিয়ে আমি বিজেপির কাছ থেকে কিছু শিখব না? হিন্দুত্ব ধর্মীয় সহিষ্ণুতা শেখায়। হিংসা শেখায় না। হিন্দু ধর্ম শুধু ওই হিন্দুত্ববাদীদের একচেটিয়া সম্পত্তি নয়। আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত। পাশাপাশি আমি অন্য ধর্ম নিয়েও গর্ব অনুভব করি।
তাঁর কথায়, হিন্দু ধর্ম শেখায় পরস্পরকে সম্মান করতে। অন্য ধর্মকে সম্মান করতে। এটাই বিশ্বের মানবিক দিক। ভারতের ঐতিহ্য ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র। হিন্দু ধর্মও আমাদের সেই শিক্ষা দেয়। আম্বেদকরের তৈরি সংবিধান সেই ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। মানুষের সেবায় আমাদের জীবন নিয়োজিত, কুৎসা করে, অপপ্রচার করে আমাদের আঘাত করতে পারবে না ওরা। তার কারণ ঐক্যই আমাদের শক্তি। সেই শক্তিকে ভর করেই আমরা সমস্ত প্রতিকূলতা ভেদ করে এগিয়ে যাব।