'ব্রাহ্মণ বিরোধী' টুইট মুছলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার! বিশিষ্টরা মনে করালেন মমতা ব্যানার্জির কথা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঢাকতে নিজের করা টুইটই মুছে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। দেশের ব্রাহ্মণ শাসকরা বৌদ্ধ কাঠামো ধ্বংস করেছিলেন, জহর সরকারের এই টুইটে বিতর্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ব্রাহ্মণদের নিয়ে প্রাক্তন আমলাদের করা মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তারপরেই টুইটটি মুছে দেন জহর সরকার। যদিও ততক্ষণে টুইটের স্ক্রিনশট নিয়ে শেয়ার করে ফেলেছেন বহু মানুষ।
|
বিশিষ্টরা মনে করিয়েছেন মমতার কথা
প্রাক্তন আমলা জহর সরকারের টুইটের প্রতি অসম্মতি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তার মধ্যে অন্যতম হলেন, চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারির নাতি সিআর কেশবনও। তিনি স্মরণ করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন ব্রাহ্মণ। টুইটে তিনি বলছেন, আপনি (জহর সরকার) সরকার যখন সিইও ছিলেন, সেই সময় তিনি (সিআর কেশবন) প্রসার ভারতীর বোর্ডে ছিলেন। এই ধরনের মন্তব্যকে তিনি সংকীর্ণ বলেছেন। সিআর কেশবন বলেছেন, তাঁর (জহর) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সম্প্রদায়ের তার ওপর বিষ ছড়াচ্ছেন।
জহর সরকারকে নিশানা করেছেন শিবসেনা সাংসদও
জহর সরকারের করা টুইটের নিন্দা করেছেন শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। টুইট করে তিনি বলেছেন, জহর লসরকারের মন্তব্য ঘৃন্য ও জঘন্য। একটি সম্প্রদায়ের প্রতি জঘন্য ও ঘৃনার টুইট বলে অভিযোগ করে তিনি জহর সরকারের কাছে টুইটটি মুছে ফেলার দাবি করেন। তিনি এ নিয়ে সিআর কেশবনের টুইটটির রিটুইট করেন।
— Ksharma 🇮🇳 (@emkerti_) November 10, 2022 |
জহর সরকারের বিতর্কিত টুইট
কলামিস্ট আনন্দ রঙ্গনাথনের টুইটে জবাবে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার ব্রাহ্মণদের নিন্দা করে বলেছিলেন, ব্রাহ্মণ শাসকরা মহান বৌদ্ধ স্থাপত্য ধ্বংস নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও বলেছিলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ৯৯ শতাংশ ভারতীরের মধ্যে এক শতাংশ বর্ণবাদী সুবিধাভোগীরা বিদ্বেষের বীজ বপণ করেছিলেন।
|
ইতিহাসের ডাস্টবিনে জহর সরকার
প্রসঙ্গত রঙ্গনাথন বিক্রম সম্পতকে উদ্ধৃত করে টুইটে বলেছিলেন, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী পর্ব ছিল ইসলামিক বিজয়। যার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু এবং বহু মহিলাকে নিলাম করা হয়েছিল। খিলজি নিচে নালন্দাকে পুড়িয়েছিলেন। এরপরেই টুইট করে টুইট মুছে দেন জহর সরকার। তবে সেই বিক্রম সম্পত জহর সরকারকে কটাক্ষ করে লেখেন, কল্পনা করা যায় না এমন একজন বর্ণবাদী একটা সময় সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং প্রসারভারতীর হয়ে কাজ করেছেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী থেকে পরিষ্কার, আমাদের সিভিল সার্ভিসের সংস্কার জরুরি। যদিও তাঁর মতো মানুষ এখন রয়েছেন ইতিহাসের ডাস্টবিনে।
টেট পরীক্ষায় অনিশ্চয়তার মেঘ, পর্ষদকে ডেড লাইন বেঁধে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়