অপুষ্ঠিতে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ শতাংশ শিশুর, বলছে ইউনিসেফের রিপোর্ট
অপুষ্টি ভারতের শিশুর মৃত্যুর কারণ। পাঁচ বছরের নীচে ৬৯ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টিতে। ইউনিসেফের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। প্রতি সেকেন্টে ৫ বছর বয়সের নীচের শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।
অপুষ্টি ভারতের শিশুর মৃত্যুর কারণ। পাঁচ বছরের নীচে ৬৯ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টিতে। ইউনিসেফের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। প্রতি সেকেন্টে ৫ বছর বয়সের নীচের শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।
মোদীর ভারতে অপুষ্টিতে মরছে শিশুরা
শিক্ষা-স্বাস্থ্য-স্বচ্ছতা নিয়ে যখন এতো প্রকল্প চালু করেছেন মোদী। ঠিক তখনই ইউনিসেফের রিপোর্টে উঠে এলো প্রদীপের তলার অন্ধকারের ছবিটা। ভারতে ৬৯ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে অপুষ্টিতে। এবং এঁদের বয়স ৫ বছরের নীচে। সেকারণে প্রতিবছরই শিশুদের মৃত্যু ঘটে। এমনকী কিশোর কিশোরীদের মধ্যেও ভিটামিনের অভাপ প্রকট। যদিও কিশোরদের থেকে কিশোরীদের মধ্যে ভিটামিনের অভাবের প্রবণতা কম। এর থেকেই প্রমাণ হয় দেশে লিঙ্গ বৈষম্য এখনও ভীষণভাবে প্রকট।
রক্তাপ্লতার শিকার ভারতীয় নারীরা
ইউনিসেফের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতীয় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি রক্তাল্পতায় ভোগেন। সেকারণেই শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে ভারতে। এদিকে গোটা দেশে অ্যানিমিয়া মুক্ত প্রকল্প চলছে। তারপরেও এই অবস্থা। এরজন্য ভারতের সমাজ ব্যবস্থা দায়ী বলে মনে করছে ইউনিসেফ।
শহরের শিশুদের মধ্যে ওবেসিটি বাড়ছে
একদিকে যখন অপুষ্টি প্রকট হয়ে উঠেছে অন্যদিকে শহরের শিশুদের মধ্যে ওবেসিটি বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা। তাতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় শিশুদের খাবারে ভীষণভাবে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে তাঁদের সামগ্রিক বিকাশে।
ভারতীয় শিশুদের এই অবস্থা হলে দেশের ভবিষ্যত যে সংকটে সেকথা আর আলাকা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শিশুদের খাদ্যের উপর নজর বাড়াতে হলে পারিবারিক স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। তারচেেয়ও বেশি প্রয়োজন মায়েদের সচেতন হওয়া।