২০৫০-এর মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি! জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ভারতে দেখা দেবে অপুষ্টি ও খাদ্যের অভাব
বিশ্বে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে, ফসলের ফলনে ঘাটতি দেখা দেবে। এর জেরে খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়বে এবং খাদ্য সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়বে। অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে এর জেরে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সামগ্রী কেনা হয়ে উঠবে দুষ্কর। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জেরে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। শিশুরা এর জেরে উপুষ্টিতে ভুগবে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে। এরকমই বিভীষিকাময় তথ্য উঠে এসেছে সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে।
খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমেছে
রিপোর্টটি জানাচ্ছে যে গত ৩০ বছরে বিশ্ব জুড়ে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমে গিয়েছে। ভুট্টার উৎপাদন কমেছে ৪ শতাংশ, গমের উৎপাদন কমেছে ৬ শতাংশ, সোয়াবিন ৩ শতাংশ ও ধানের উৎপাদনে ৪ শতাংশ হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতে সংখ্যাটা বেশ চিন্তাজনক। গত ৫৮ বছরে ভারতে ভুট্টা ও ধানের উৎপাদন কমেছে ২ শতাংশ। আর এর জেরে ১৯৬০ সাল থেকে ভারতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার। যা পাঁচ বছরের শিশুদের দুই তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ হিসাবে দেখা দিচ্ছে।
ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৯ কোটি হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ভারতের কৃষি উৎপাদন ক্রমশই কমছে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা সংস্থার একি সূচক অনুযায়ী ২০৩০ পর্যন্ত ভারতের খাদ্য উৎপাদনের হার যেই হারে বাড়া উচিত, তা হবে না। পাশাপাশি ভারতে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৯ কোটি ছোঁবে।
খাদ্য সুরক্ষার অভাব দেখা দেবে
এদিকে খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদন কমার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে দেশে দেখা দেবে খাদ্য সুরক্ষার অভাব। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব দেখা যাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে খাদ্যশস্যের দাম ২৩ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জেরে গরিবরা খাদ্যশস্য কেনার সামর্থ হারাবেন।