গর্ভবতী মহিলাদের অপুষ্টির জেরেই সর্বাধিক সদ্যজাতের মৃত্যু গোটা দেশ জুড়ে
মায়ের অপুষ্টিই ঝলমলে শৈশব কেড়ে নিচ্ছে শিশুদের। একদিকে মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সাথে জোরদার লড়াই করছে দেশ, নিরন্তর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা জারি রয়েছে। কিন্তু এমতাবস্থায় গোটা দেশে শিশু মৃত্যুর হার নিয়ে নতুন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

কী বলছে শিশু মৃত্যু নিয়ে নতুন এই গবেষণা ?
ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ভারতে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী মৃত শিশুদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ শিশু গর্ভস্থ অবস্থায় অপুষ্টি ও জন্মানোর পরেও সুষম আহারের অভাবে মারা যায়। পাশাপাশি কম ওজন, ও অকাল গর্ভপাতের কারণে প্রায় ৮৩ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ, স্বাস্থ্য পরিসংখ্যানের এবং মূল্যায়ন ইনস্টিটিউট ও ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শিশুমৃত্যু কমেছে উত্তরপ্রদেশ অসমেও
যদিও ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার, এবং শিশুদের অস্বাস্থ্যকরভাবে বেড়ে ওঠার হার অনেকটাই কমেছে বলে জানাচ্ছে ল্যানসেট। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে শিশুমৃত্যুর পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ স্থানে ছিল উত্তরপ্রদেশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল অসম। উভয় রাজ্যেই শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

তারতম্য রয়েছে জেলা ভিত্তিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে
এই সমীক্ষাতে মূলত ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যের জেলা ভিত্তিক শিশু মৃত্যুর বিষয়টির উপর এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সমস্ত রাজ্য গুলির মধ্যে পাঁচ ছয় রকমের পট পরিবর্তন দেখা গেলেও জেলা গুলির ক্ষেত্রে আট থেকে এগারো রকমের তারতম্য দেখা যায়।

সদ্যজাত মৃত্যুর ক্ষেত্রে অশনি সংকেত
একইসাথে ওই সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার এবং নবজাতক মৃত্যুর হার ভারতের প্রায় সব জেলাতেই হ্রাস পাচ্ছে। যদিও এই হ্রাসের অগ্রগতি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল কারণ বিভিন্ন রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে এই হার গুলির বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রেই দাবি করা হয়েছে এই বৈষম্য বজায় থাকলেই জন্মের একমাসের মধ্যে সদ্যজাতের মৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে ২০৩০-র লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হবে ভারত।
ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চিনে? উহানের ১ কোটি বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্তে উঠছে প্রশ্ন