কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, উপস্থিত থাকল গান্ধী পরিবার
কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে আজ দায়িত্ব নিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে হারিয়ে এই পদে এসেছেন। তিনি ভোট জিতেছিলেন সাত হাজারেরও বেশি ভোটে। আজ ছিল তাঁর জাতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার দিন।
দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মল্লিকার্জুন খাড়গের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর পাশে থাকলেন। রাহুল গান্ধীও ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকলেও তিনি এই বিশেষ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ অ-গান্ধী কোনও ব্যক্তি কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ২৪ বছর আগে।
থেকে ১২টার মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় । সোনিয়া, প্রিয়া, রাহুল তিন জনেই মল্লিকার্জুনকে সমর্থন জানাতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ঠিক ছিল যে শুধু সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কাই এতে যোগ দেবেন। পরে জানা যায় যে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও প্রবীণ নেতা খাড়্গের কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপ্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী, কংগ্রেস সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি, রাজ্য় সভাপতিরাও। সকলকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন জয়রাম রমেশ।
বুধবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ৪০০টির বেশি ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়ে। নিয়ম অনুযায়ী কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ভোট দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শশী থারুর ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। শশী থারুরের জন্য প্রতীক রাখা হয়েছিল হৃদয় ও তির এবং মল্লিকার্জুনের জন্য প্রতীক রাখা হয়েছিল স্বস্তিক চিহ্ন।
দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেস প্রতিনিধিরা কাকে ভোট দিতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট হওয়ার পরেও ৪০০টির বেশি ভোট বাতিল করা হয়। বুধবার গণনার সময় ৯,৩৮৫টি ভোটের মধ্যে ৪১৬টি বাতিল করা হয়। একটি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেখানে থারুর জন্য হৃদয় ও তির প্রতীক ও মল্লিকার্জুনের স্বস্তিক চিহ্ন ছিল।
সচিন পাইলট, গৌরব গগৈ, তারিক আনোয়ারের মতো নেতারা খার্গের সঙ্গে দেখা করেন। মল্লিকার্জুন কংগ্রেসের প্রবীণতম নেতা। তাঁর বয়স প্রায় ৮০ বছরের। কয়েক দশক ধরে তাঁর লঙ্গে কংগ্রেসের যোগ। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। প্রথমে গান্ধী পরিবারের পছন্দের তালিকায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ছিলেন। রাজস্থানের বিদ্রোহী বিধায়কদের জেরে গেহলটকে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে হয়। সেই সময় মল্লিকার্জুন প্রার্থী হন। গান্ধীরা নিজেদের ঘনিষ্ঠকে সভাপত্র রেখে কংগ্রেসের রাশ ধরে থাকতে চাইলে।