প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরের সঙ্গে আলোচনা করেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিশেষ ধন্যবাদ সোনিয়াকে
Array
প্রায় আড়াই দশক পর কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিলেন কোনও অ-গান্ধী। মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের দিল্লির সদর দফতর থেকে এই দায়িত্ব নেন। তিনি প্রেসিডেন্ট পদের শংসাপত্র নেন ইলেকশন অদরিটির প্রধান মধুসুদন মিস্ত্রির থেকে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা তিন গান্ধীই।
কারা ছিলেন অনুষ্ঠানে?
তিনি শশী থারুরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এই দায়িত্ব নেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা, ছিলেন সমস্ত সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে , সিএলপি নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, এবং রাজ্য সভাপতিরা। উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি অফিসের কর্মকর্তারা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল সবাইকে অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রন পাঠিয়েছিলেন।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল বলেন, "কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। আজ ওনার শপথ অনুষ্ঠান হল। এখানে আমি ছিলাম। আমার দেখে ভালো লাগল বিষয়টা"
কী বলেন খারগে?
মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজে বলেন যে, আমি আমার সমস্ত কংগ্রেস কর্মীর পক্ষে সর্বভারতীয় দল নেত্র সোনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন যে, "তিনি দলের দায়িত্ব বছর সামলেছেন। অনেক কিছু ত্যাগ তিনি করেছেন। তাঁকে আমার কুর্নিশ"
শশীর সঙ্গে আলোচনা
তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন যে, "আমি আমার বন্ধু শশী থারুরকেও অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করেছি এবং পার্টি প্রেসিডেন্ট হিসাবে কীভাবে দল চালানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে দল চালাতে হবে তা নিয়েও কথা বলেছি।"
সীতারাম কেশরীর পর
সীতারাম কেশরীর পর মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেইসঙ্গে তিনি দ্বিতীয় দলিত নেতা যিনি কংগ্রেস সভাপতি হলেন। ভোটে হারান দক্ষিণেরই আর এক নেতা শশী থারুরকে। গান্ধী পরিবার সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই ধরে নিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁর হাতেই ব্যাটন। এখন তিনি কংগ্রেসকে কোন পথে পরিচালিত করে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারেন, সেটাই দেখার।
মল্লিকার্জুনের জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না, তবে তিনি কতটা গান্ধী পরিবারের প্রভাবমুক্ত থাকতে পারবেন, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর একটা মস্তবড় সুবিধাও থাকবে। তিনি কীভাবে দলকে পরিচালনা করেন, দলের নতুন কী কৌশল আনেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব কতটা সক্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁর নেতৃত্বে, তিনি কতটা দলকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মুক্ত রাখতে পারবেন তার উপরই নির্ভর করবে শতাব্দীপ্রাচীন দলটির ভবিষ্যৎ।
২০১৪ সালের পর থেকে কংগ্রেসের সাফল্যের সংখ্যা কম। বেশিরভাগ নির্বাচনেই কংগ্রেসকে হারতে হয়েছে। রাহুল গান্ধী সভাপতি হওয়ার পর কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সাফল্য পেয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে