(ছবি) পুরুষ 'স্তন'-এর ক্রমবর্ধমান সমস্যায় চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের!
নয়াদিল্লি, ৮ জুন : কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে স্তন কমানোর ক্রমবর্ধমান প্রবনাতায় বিভ্রান্ত চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কথায় এই ধরণের প্রায় ৮-১০টি অস্ত্রোপচার তো মাসে করতেই হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ধরণে স্তনের আকার হ্রাস করানোর অস্ত্রোপচারের চাহিদা হয়তে মাসে বড়জোর ৩টি।
চিকিৎসকদের কথায়, শুধুমাত্র হরমোনের জন্য নয়, জিম করে সুঠাম শরীর পাওয়ার জন্য অত্যধিক মাত্রায় স্টেরয়েডের ব্যাবহার, স্থূলত্ব এবং অন্যান্য জীবনধারার পদ্ধতি সংক্রান্ত কারণেই পুরুষদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত বড় আকারের স্তনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।
পুরুষদের স্তন বৃ্দ্ধির সমস্যা
কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে স্তন কমানোর ক্রমবর্ধমান প্রবনাতায় বিভ্রান্ত চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কথায় এই ধরণের প্রায় ৮-১০টি অস্ত্রোপচার তো মাসে করতেই হচ্ছে তাদের।
স্টেরয়েডের ব্যবহার
আজকাল যোগ-ব্যায়ামের থেকে জিম করে পেশী ফোলানোতেই মজেছে তরুণ প্রজন্ম। পেশীবহুল সুঠাম শরীর ও সিক্স প্যাক বা এইট প্যাক অ্য়াব পেতে পুষ্টিবর্ধক বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান অনেকেই। যাতে স্টেরয়েড থাকে। এর ফলে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। এ কারণে স্তন বর্ধন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গায়নাইকোমাস্টিয়া
পুরুষদের ক্ষেত্রে স্তন পরিবর্ধনের ঘটনা মূলত ঘটে পুরুষ ও মহিলা হরমোনের অসামঞ্জস্যের জন্য। ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছেলেদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি বয়। যদিও মধ্যবয়সে গিয়ে যে এই সমস্যা একেবারেই হয় না তা কখনওই নয়পুরুষদের ক্ষেত্রে অ্য়ান্ড্রোজেনের প্রভাব বেশি থাকে, এবং মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের। কিন্তু যদি কোনও পুরুষের শরীরে যদি স্বাভাবিকভাবে ইস্ট্রোজেন হরমোনের গ্রহণক্ষমতা বেশি হয়, তাহলে স্থুল স্তনের সমস্যা হতে পারে। তবে এমন রোগীর সংখ্যা খুব কম।
পুরুষদের স্তন পরিবর্ধন
স্তনের আকার কমানোর মতো স্তনের আকার বাড়ানোর জন্যও প্রচুর সংখ্যায় তরুণরা কসমেটিক সার্জেনের দ্বারস্থ হয়। ১০ বছর আগেও পুরুষ স্তন নিয়ে সেহারে মাথাব্যাথা ছিল না তরুণদের মধ্যে। কিন্তু এখন, সিক্স প্যাক অ্যাব, চওড়া ছাতি, পুরুষালি চেহারার জন্য মাননসই স্তন পেতে চিকিৎসকের ছুড়ির তলায় আসতে পিছপা হচ্ছে না তরুণ প্রজন্ম।
খাবারে ভেজাল
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখায় যায় অল্প সময়ের মধ্যে মুরগী বা ছাগল বা ভেড়াকে বড় করতে এবং শরীরের মাংস বাড়াতে এদের শরীরে হরমোনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এই মাংস যখন আমরা খেয়ে হজম করি তখনও শরীরে হরমোনের গরমিল হতে পারে।
শরীরের নিষ্ক্রিয়তা
আজকালকাল কম্পিউটারের যুগে অত্যধিক ক্ষেত্রেই বসে কাজ। দৌড়দৌড়ির কাজ নেই। তাই শরীরের ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে জীবনধারাও একটা বড় ভূমিকা নেয়।
স্থূলত্ব
স্থূল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা যায় এনজাইম, অ্যারোমেটিসের অত্যধিক সক্রিয়তার ফলে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রোজেন বিপরীত কাজ করতে শুরু করে। ফলে স্তন বর্ধনের সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, স্তনের আকার কমানোর মতো স্তনের আকার বাড়ানোর জন্যও প্রচুর সংখ্যায় তরুণরা কসমেটিক সার্জেনের দ্বারস্থ হয়। ১০ বছর আগেও পুরুষ স্তন নিয়ে সেহারে মাথাব্যাথা ছিল না তরুণদের মধ্যে। কিন্তু এখন, সিক্স প্যাক অ্যাব, চওড়া ছাতি, পুরুষালি চেহারার জন্য মাননসই স্তন পেতে চিকিৎসকের ছুড়ির তলায় আসতে পিছপা হচ্ছে না তরুণ প্রজন্ম।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত কেন স্তন বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে?
চিকিৎসকদের কথায়, একে ডাক্তারি শাস্ত্রে বলা হয় গায়নাইকোমাস্টিয়া। পুরুষদের ক্ষেত্রে স্তন পরিবর্ধনের ঘটনা মূলত ঘটে পুরুষ ও মহিলা হরমোনের অসামঞ্জস্যের জন্য।
অ্যান্ড্রোজেন হল পুরুষ হরমোন এবং ইস্ট্রোজেন বল হল মহিলা হরমোন। ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছেলেদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি বয়। যদিও মধ্যবয়সে গিয়ে যে এই সমস্যা একেবারেই হয় না তা কখনওই নয়।
সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা থাকে পুরুষদের শরীরে পুরুষ হরমোন ও মেয়েদের শরীরে মহিলা হরমোন থাকে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল। দুই হরমোনই পুরুষ ও মহিলার উভয়ের শরীরে থাকে। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে অ্য়ান্ড্রোজেনের প্রভাব বেশি থাকে, এবং মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের।
কিন্তু যদি কোনও পুরুষের শরীরে যদি স্বাভাবিকভাবে ইস্ট্রোজেন হরমোনের গ্রহণক্ষমতা বেশি হয়, তাহলে স্থুল স্তনের সমস্যা হতে পারে। তবে এমন রোগীর সংখ্যা খুব কম। মূলত অপুষ্টি, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, এবং স্টেরয়েডের ফলে এই ধরণের সমস্যা বেশি হয়।
খাবারে ভেজাল
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখায় যায় অল্প সময়ের মধ্যে মুরগী বা ছাগল বা ভেড়াকে বড় করতে এবং শরীরের মাংস বাড়াতে এদের শরীরে হরমোনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এই মাংস যখন আমরা খেয়ে হজম করি তখনও শরীরে হরমোনের গরমিল হতে পারে।
আর তার উপর শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা সোনায় সোহাগা। আজকালকাল কম্পিউটারের যুগে অত্যধিক ক্ষেত্রেই বসে কাজ। দৌড়দৌড়ির কাজ নেই। তাই শরীরের ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে জীবনধারাও একটা বড় ভূমিকা নেয়।
সুঠাম শরীর পেতে স্টেরয়েডের ব্যবহার
আজকাল যোগ-ব্যায়ামের থেকে জিম করে পেশী ফোলানোতেই মজেছে তরুণ প্রজন্ম। পেশীবহুল সুঠাম শরীর ও সিক্স প্যাক বা এইট প্যাক অ্য়াব পেতে পুষ্টিবর্ধক বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান অনেকেই। যাতে স্টেরয়েড থাকে। এর ফলে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
এর ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। এ কারণে স্তন বর্ধন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। স্টেরয়েডের অত্যধিক সেবনে কিডনিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণে শরীর গঠনের জন্য স্টেরয়েড সেবনের বারবার বিরোধিতা করেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাতে যদিও কান দেননা অনেকেই।