
মালয়েশিয়ার প্রাণঘাতী করোনা ‘স্ট্রেইন’ ভারতীয় রেস্তরাঁ মালিকের দেহে, আগেও মিলেছে এই জাতের হদিশ
ফের নয়া আতঙ্ক তৈরী করছে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেইন ডি৬১৪জি। মালয়েশিয়ায় সন্ধান মিলেছে এই নতুন প্রজাতির মারণ ভাইরাসের। বিজ্ঞানীদের মতে করোনার বর্তমান ক্ষমতার থেকেও ১০ গুণ মারাত্মক এই স্ট্রেইন। পাশাপাশি এর সংক্রমণ ক্ষমতাও অনেক বেশি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নয়া আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ববাসীই। এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় আবিষ্কৃত এই স্ট্রেনটি আসলে নতুন নয়। উল্লেখ্য আগেই ইউরোপে এই স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এখনও অবধি এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যার ভিত্তিতে বলা যায় এটি অন্যান্য করোনভাইরাসের স্ট্রেনের চেয়ে বেশি মারাত্মক।

এদিকে সংক্রমণের ক্ষমতার ভিত্তিতে মালয়েশিয়া একে সুপার স্প্রে়ডার আখ্যা দিয়েছে। প্রথমে ৪৫ জন লোকের মধ্যে তিনজনের শরীরে এই স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।তিনজনের মধ্যে একজন মালয়েশিয়ার বাসিন্দা, আরেকজন ভারতীয় রেস্তরাঁ মালিক। দুজনেরই ভারত থেকে ফেরার রেকর্ড রয়েছে। এদিকে আরেকটি জনগোষ্ঠীতেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে যিনি ফিলিপিন্স থেকে ফিরেছিলেন। এই প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিকর্তা নূর হিশাম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন," নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান মেলার অর্থ, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে চলতি গবেষণা অসম্পূর্ণ বা পুরোপুরি বিফলে যেতে পারে।"
সূত্রের খবর, ভারত থেকে ফেরা ওই প্রবাসী রেঁস্তরার মালিকের শরীরেই এই স্ট্রেনের প্রথম নজির মিলেছিল। ৫৭ বছরের এই ভারতীয় মালয়েশিয়ায় থাকেন। জুলাই মাসে তিনি ভারত থেকে ফিরে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রথম দিকে করোন পরীক্ষায় তার ফল নেগেটিভ আসায় তিনি রেঁস্তরা পরিদর্শনের জন্য মালয়েশিয়া ফেরেন। মালয়েশিয়া ফিরে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করতেই তার ফল ইতিবাচক আসে। ফেরার পর তিনি বাদেও তাঁর পরিবারের সদস্য, রেস্তরাঁ শ্রমিক এবং গ্রাহকরা সহ বেশ কয়েকজন এই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, আদেশ লঙ্ঘনের অপরাধে ওই রেস্তোরাঁর মালিককে মালয়েশিয়ার আদালত পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও ১২,০০০ রিঙ্গিত বা (২.১৪ লক্ষ টাকা) জরিমানা করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বারংবার করোনায় আক্রান্ত সুস্থ রোগী, নতুন এই বিষয় ভাবিয়ে তুলছে দিল্লিবাসীকে